বর্ষবরণে অনেক হুমকি ছিল: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল ২০১৭, ১২:৩২| আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:১৮
অ- অ+

পয়লা বৈশাখ নববর্ষে নাশকতার নানা হুমকি ছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মানুষের উৎসবে যেন ভাটা না পড়ে, সে জন্য কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। নির্বিঘ্নে দিনটি পালিত হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার রাজধানীর কাকরাইলের বিচারপতিদের আবাসিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার কোনো মানে হয় না।

শুক্রবার দেশজুড়ে বাংলা নতুন বর্ষ বরণ হয়েছে মহাসমারোহে। লাখো মানুষ অংশ নিয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রায়। দল বেঁধে প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে তারা। অংশ নিয়েছে সাংস্কৃতিক নানা আয়োজনে।

বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা বাড়ছে প্রতি বছর। সেই সঙ্গে মানুষের অংশগ্রহণ একে এক সার্বজনীন উৎসবে রূপ দিয়েছে। দুই ঈদের পাশাপাশি সরকারও নববর্ষে ভাতার ব্যবস্থা করেছে। বেসরকারি পর্যায়ে এখনও ভাতা পুরোপুরি চালু না হলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিষ্ঠান এই ভাতা দিচ্ছে তাদের কর্মীদেরকে।

এবার নববর্ষের আগে আগে চট্টগ্রামে দেয়ালচিত্র মুছে দেয়ার ঘটনা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উগ্র ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে পয়লা বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতার সমালোচনা নিয়ে তৈরি হয় আলোচনা-সমালোচনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতায় সময়ের বেড়া দেয়। বিকাল পাঁচটার পর উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান না করা, মঙ্গল শোভাযাত্রায় মাঝপথ থেকে যোগদানে নিষেধাজ্ঞা ছাড়ও মোটর সাইকেলে আরোহী এবং ব্যাগ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা তল্লাশির পর অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকতে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নানা ধরনের হুমকি আমরা পেয়েছিলাম। তখন কাউকে বলিনি, অনেক ধরনের হুমকি আমাদের কাছে এসেছিল এটা হবে, ওটা হবে। কিন্তু আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা তারা এত সক্রিয় ছিলেন যে, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সমগ্র বাংলাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে আমাদের নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ কোনো ধর্মীয় বিষয় না। এটা আমাদের বাঙালিদের একটা ক্যালেন্ডার। সে অনুযায়ী আগের দিনের ব্যবসা-বাণিজ্য, হালখাতা অর্থাৎ সমস্ত দেনা পাওনা শোধ করে নতুন করে দেনা পাওনা পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হতো। এর সাথে আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটা মিল রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শুধু খাটবো, কাজ করবো তা না, কিছু মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা যেন সবার থাকে। একটু স্বস্তি, শান্তিতে উৎসব করতে পারে, সেই সুবিধাও করে দেয়া হোক-এটাও প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।’ তিনি বলেন, ‘নববর্ষটা কিন্তু ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই পালন করে। তার জন্য আমরা নববর্ষ উদযাপনে ভাতার ব্যবস্থাও আমরা করে দিয়েছি যেন একসঙ্গেই সবাই এটা উদযাপন করতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে একটা নতুন উৎপাত তৈরি হয়েছে জঙ্গি সন্ত্রাসবাদ। এ থেকে আমরা দেশকে মুক্ত করতে চাই। এ জন্য আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

ঢাকাটাইমস/১৫এপ্রিল/ডব্লিউবি

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
জাতিসংঘ মহাসচিবকে এনে রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর মিথ্যা গল্প বলা হয়েছে: রাশেদ খাঁন
মির্জাপুরে নদীতে বাঁধ দিয়ে রাত-দিন চলছে মাটি লুট
সবজি-মাছ-মুরগির দাম বাড়তি
শ্রীপুরে ধানের আঁটি নিয়ে দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে আহত ৩
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা