চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্থির চালের বাজার
ধানের উদ্বৃত্ত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে চালের বাজারে চলছে অস্থিরতা। ব্যবসায়ী ও চালকল মিলারদের বিরুদ্ধে ধান-চালের অবৈধ মজুদ ও বাজার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ উঠেছে।
খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের অভিযোগ, মিলারদের সিন্ডিকেটের কারণেই এমন মূল্যবৃদ্ধি।
যদিও মিল মালিকদের দাবি, ধানের সঙ্কটই দাম বাড়ার মূল কারণ।
তবে মিল মালিকদের ছয় মাসের অধিককাল ধান-চাল মজুদ ও ইচ্ছেমত বাজারে ছাড়ার কারণেই চালের বাজারে ঊর্ধ্বগতি হলেও এসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থায় নেয়া যাচ্ছে না- এমনটাই জানালেন জেলা মার্কেটিং অফিসার।
জানা গেছে, খাদ্য উদ্বৃত্ত অঞ্চল ও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাল উৎপাদনকারী জেলা হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ। পর্যাপ্ত সরবরাহ ও উৎপাদন হলেও অস্থির হয়ে উঠেছে এখানকার চালের বাজার।
গত একমাসেরও বেশি সময় ধরে সব ধরনের চালেই কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। এতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছে মধ্যবিত্তরাও। অথচ মাসখানেক আগেও চালের বাজার ছিল স্থিতিশীল।
খুচরা বিক্রেতা ও ক্রেতাদের অভিযোগ, অসাধু কিছু চালকল মালিক ও ব্যবসায়ী তাদের গোডাউনে অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদ করে বাজারে চালের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে।
জেলা মার্কেটিং অফিসার নূরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনই চালের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি করছে কিছু অসৎ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। আইন অনুযায়ী, দীর্ঘ সময় ধরে ধান-চাল মজুদ রাখার কোন নিয়ম না থাকলেও নানা কারণে এদের বিরুদ্ধে নেয়া যাচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মত আমদানিকৃত চালের উপর কর হ্রাসের কথাও বলছেন তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি মো. এরফান আলী বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। হাট-বাজারে ধানের সরবরাহ তেমন না থাকায় বেড়েছে চালের দাম। অবৈধ মজুদের অভিযোগ সঠিক নয়, সামনে নতুন ইরিবোরো ধান বাজারে এলেই চালের দাম কমবে।
জেলা মিল মালিক ও আতব ধান-চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মসিউল করিম বাবু বলেন, পুরান ধান পর্যাপ্ত পরিমাণ না থাকায় চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী।
মার্কেটিং অফিসার মজুদ ও সিন্ডিকেটের বিষয়ে যে অভিযোগ করেছেন, তা পুরোটাই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/প্রতিনিধি/এলএ)