দীর্ঘ অপেক্ষার পর সাকিবের হতাশার রাত
এবারের আইপিএল কী তাহলে সাকিবের কাছে হতাশার অপর নাম হয়েই থাকবে? লক্ষণ তো সেরকমই।
টানা পাঁচ ম্যাচে একাদশের বাইরে। অবশেষে অপেক্ষার অবসান হলো। শুক্রবার রাতে একাদশে নেওয়া হলো সাকিব আল হাসানকে। কিন্তু নিজে ভালো কিছু করতে পারলেন না। দলও জিতলো না। সুরেশ রায়না ঝড়ে চার উইকেটে হারতে হলো সাকিবের দলকে। ১৮৭ রান করে হার দেখতে হলো নাইটদের।
অবশ্য ব্যাট হাতে কিছু করে দেখানোর মোটেও সুযোগ ছিল না সাকিবের। ব্যাট করতে নেমেছিলেন বটে, কিন্তু অনেক দেরিতে। সাত নম্বরে যখন ব্যাট করতে নামলেন তখন কলকাতার ইনিংস একরকম শেষই। সুযোগ হলো মাত্র এক বল মোকাবেলার। এক বলে এক রান নিয়ে অপরাজিত থেকেছেন সাকিব।
তবে শুক্রবার রাতে গুজরাটের বিপক্ষে নাইটরা কিন্তু বড় ইনিংসই গড়ে তুলেছিল। ৫ উইকেটে ১৮৭ রান তুলে তারা। রবিন উথ্থাপা মাত্র ৪৮ বলে ৭২ রান করেন। ওপেন করতে নেমে চমক দেখান সুনীল নারিন। ১৭ বলে ৪২ রনের বিধ্বংসী ইনিংস এসেছে তার ব্যাট থেকে। গম্ভীর করেন ৩৩।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চড়াও হয়ে খেলতে থাকে গুজরাট লায়ন্স। প্রথম ওভার বল করতে আসেন সাকিব। কিন্তু সুবিধে করতে পারেননি। দেন ৯ রান। সাকিবকে দিয়ে আরো দুই ওভার করানো হয়েছিল । কিন্তু পরের দুই ওভারে দেন ২২ রান। ৩ ওভারে মোট ৩১ রান দেন সাকিব।
সাকিবের হতাশার রাতে হতাশা সঙ্গী হয় নাইটদেরও। সুরেশ রায়না ঝড়ে ১০ বল আগেই জয়ে পৌঁছে যায় গুজরাট। ৪৬ বলে ৮৪ রান করেন রায়না।
এ ম্যাচে অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে বসিয়ে সাকিবকে খেলানো হয়েছে। গ্র্যান্ডহোমের বাজে পারফরম্যান্সই সুযোগ করে দিয়েছে সাকিবকে। গ্র্যান্ডহোমকে দিয়ে এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলানো হয়েছে। ওই তিন ম্যাচে গ্র্যান্ডহোম ব্যাট হাতে করেছেন এক রান। আর বল হাতে নিয়েছেন একটি উইকেট।
(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/ডিএইচ)