টাঙ্গাইলে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর আত্মহত্যা
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ফাঁসিতে ঝুলে রুনা বেগম নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে।
গত দু’বছর আগের টাঙ্গাইল সদরের চর সাটুরিয়া গ্রামের বাবু মিস্ত্রির মেয়ে রুনার সাথে দেলদুয়ার উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মজনু সিকদারের ছেলে আব্দুর রহিমের বিয়ে হয়। স্বাভাবিকভাবেই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। প্রতিদিনের মতো রবিবারও স্বামী আব্দুর রহিম সকালে কাঠ মিস্ত্রীর কাজে বের হয়। দুপুরের খাবারের জন্য নিয়মিত বাড়িও আসেন।
এদিকে প্রতিদিন স্ত্রী রুনা দুপুরে কাজের ফাঁকে ঘণ্টাখানেক ঘুমিয়ে নেন। রবিবারও দুপুরে রহিম খেতে এসে ঘর আটকানো দেখে ভাবেন স্ত্রী রুনা ঘুমাচ্ছে। খাওয়া সেরে আবার কাজে গেলে বাড়ির লোক দরজা খুলে দেখতে পায় স্ত্রী রুনা ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে। স্থানীয়রা লাশটি উদ্ধার করে।
রুনার স্বামী আব্দুর রহিম ও রুনার শ্বশুর মজনু সিকদার রুনার ফাঁস নিয়ে মরার কোন কারণ বলতে পারলেন না। কি কারণে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রুনা আত্মহত্যা করল তার কোন উত্তর খুঁজে পেল না তার স্বামী আব্দুর রহিম।
এদিকে রুনার পরিবার থেকে আব্দুর রহিমের প্রতি রয়েছে নানা অভিযোগ। রুনার বাবা বাবু মিস্ত্রী, চাচি আনোয়ারা বেগম ও নানি হামিদা বেগম অভিাযোগ করেন, বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া লেগে থাকত। কোনদিন রহিম শ্বশুর বাড়ি যেত না। রুনা বাড়ি গেলে রহিমের বৃদ্ধ বাবা মজনু মিয়া পুত্রবধূকে নিয়ে আসত। তাদের আরো অভিযোগ মাঝে মাঝেই রুনাকে তাড়িয়ে দেবে বলতেন রহিম। রহিম রাতে দীর্ঘ সময় বাইরে কাটাত বলেও তারা অভিযোগ করেন।
তাদের ধারণা, স্বামীর সাথে ঝগড়ার জের ধরেই রুনা আত্মহত্যা করেছে।
পাথরাইল ইউপি চেয়ারম্যান হানিফুজ্জামান লিটন বলেন, আমি শোনা মাত্র ঘটনাস্থলে গিয়েছি। উভয় পক্ষকে বুঝার সুযোগ দিয়েছি। মেয়ে পক্ষ আইনে গেলে আমি আইনি সহায়তা দিতে পাশে থাকব। সামাজিকভাবে মীমাংসা চাইলে তার সাথেও সহমত প্রকাশ করব।
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন জানান, ঘটনা শুনেছি। মেয়ের পক্ষ কোন অভিযোগ দিতে চাচ্ছে না। তবু আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাচ্ছি।
(ঢাকাটাইমস/৭মে/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন