মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলা
একাত্তরে মানবতাবারোধী অপরাধের অভিযোগে বরগুনার পাথরঘাটা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারের মো. আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
রবিবার বিকালে পাথরঘাটার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিউর রহমানের ছেলে মো. মিজানুর রহমান উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। পরে বিচারক মো. রেজওয়ানুজ্জামান মামলাটি আন্তর্জতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।
মামলায় পাথরঘাটা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আবদুল মান্নান হাওলাদারের ছোট ভাই আবদুর রাজ্জাক হাওয়াদার, বোন জামাতা হযরত আলীসহ অজ্ঞাত আরও ১২/১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৯৭১ সালের ২৯ জুন পাথারঘাটার বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন শীলকে পাথরঘাটার চিহ্নিত রাজাকার জালালের বাড়ির সামনে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালান অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার সহযোগীরা। কিন্তু এতে ব্যর্থ হয়ে ৩০ জুন চিত্তনঞ্জনের চাচা মুরেন্দ্র নাথকে হত্যা করে গুম করে তারা।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, মামলার বাদী মো. মিজানুর রহমানের বাবা মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিয়ার রহমান ও মামলার প্রথম সাক্ষী মনমথ মিস্ত্রির বাবা মনোহর মিস্ত্রিকে গুলি করে হত্যা করে অভিযুক্তরা। পরে তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এছাড়াও, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা, আল শামস, আলবদর ও রাজাকারদের কাছে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিয়ে পাথরঘাটাসহ এর আসপাশের এলাকার নিরীহ ও সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি লুটপাটসহ গবাদিপশু ও গচ্ছিত সম্পদ লুট ও এলাকায় ত্রাস সৃষ্টিও অভিযোগও আনা হয় মামলায়।
মামলার বাদী মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমার বাবার হত্যাকারীদের বিচারের জন্য দীর্ঘদিন পরে হলেও আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এ মামলায় আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রত্যাশাও করেন তিনি।
ঢাকাটাইমস/২২মে/প্রতিনিধি/এমআর
মন্তব্য করুন