বাগেরহাটে আ.লীগপন্থি ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শমসের আলীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
অর্থ আত্মসাতের মামলায় সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. জিয়া হায়দার এ আদেশ দেন। শেখ শমসের আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে।
সমাজসেবা অধিদপ্তর এ মামলা দায়ের করে। মামলাটি বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে।
চেয়ারম্যান শেখ শমসের আলী বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
তবে চেয়ারম্যান শেখ শমসের আলী শুরু থেকেই ঘুষগ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ মার্চ বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের ৯৭৭ জন বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে ভাতার টাকা বিতরণে দুই থেকে তিনশ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। যার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হুদা তদন্তে নেমে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পান। এর দুই দিন পর জরুরি সভা করে তিনি তার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলামকে আগামী তিন মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়ে ছুটিতে যান।
এর এক সপ্তাহ পর ২৬ মার্চ বাগেরহাট সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল মোকাররম মো. ফজলে এলাহী বাদী হয়ে গোটাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ শমসের আলীর বিরুদ্ধে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলাটি করেন।
চেয়াম্যানের আইনজীবী বাহাদুর ইসলাম ও শাহী আলম বাচ্চু বলেন, গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শমসের আলীর বিরুদ্ধে সমাজসেবা অধিদপ্তর অর্থ আত্মসাতের একটি মামলা করে। ওই মামলায় আমার মক্কেলকে উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়ে পরবর্তীতে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। সোমবার দুপুরে তিনি জামিন নিতে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
(ঢাকাটাইমস/২২মে/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন