শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বন্ধ, শিক্ষা কর্মকর্তা বিদেশে
নড়াইল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিদেশ ভ্রমণে থাকায় মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬৪০ জন শিক্ষক বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমনকি এ প্রশিক্ষণ বাবদ বরাদ্দ পাওয়া প্রায় ৫০ লাখ টাকাও ফেরত যাচ্ছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম’ (সেসিপ)-এর আওতায় নড়াইলের মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬৪০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা ছিল। বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে ১০ থেকে ২১ জুন নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, গণিত এবং বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার মজুমদার ধর্মীয় ও দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের জন্য ২৫ দিনের (২২ মে থেকে ১৫ জুন) ছুটিতে থাকায় এবং অফিসের আর্থিক ক্ষমতা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে হস্তান্তর না করায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
অর্ধগড় (মূল বেতনের অর্ধেক) বেতনে রনজিৎ কুমারের বহিঃবাংলাদেশ ছুটি মঞ্জুর করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তার (রনজিৎ কুমার) অনুপস্থিতিতে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার বিশ্বাসকে প্রশাসনিক দায়িত্ব দেয়া হলেও আর্থিক লেনদেনের ক্ষমতা দেয়া হয়নি। এ কারণে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বাতিল করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন নড়াইলের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক শিক্ষক জানান, আর্থিক দায়িত্ব নিজের হাতে রেখে শিক্ষা কর্মকর্তার এ ধরনের ভ্রমণের কোনো মানে হয় না। এতে শিক্ষকেরা বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন। পাশাপাশি আর্থিক সুবিধাও পেলেন না তারা। শিক্ষকেরা প্রশ্ন রাখেন, এ ক্ষতি পুষিয়ে দেবে কে?
এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘১০ জুন থেকে নড়াইলসহ ২৮ জেলায় বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ছয়দিন করে দুই ভাগে ১২ দিনের এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে অন্যান্য জেলায় সব প্রস্তুতি শেষ হলেও নড়াইলের ক্ষেত্রে তা সম্ভব হচ্ছে না। এতে বরাদ্দ পাওয়া প্রায় ৫০ লাখ টাকা ফেরত যাচ্ছে।
আগামীতে আবার প্রশিক্ষণের আয়োজন করা সম্ভব হবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘পরবর্তী বাজেটে এ প্রশিক্ষণ কবে নাগাদ হবে, তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।’
(ঢাকাটাইমস/১০জুন/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন