রাঙামাটি শহরে সড়কজুড়ে লাল পতাকা
রাঙামাটি শহরের সড়কগুলোতে এখন উড়ছে লাল পতাকা। দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়িচালকদের সতর্ক করতে এই ব্যবস্থা নিয়েছে সড়ক ও জনপদ এবং জেলা ট্রাফিক পুলিশ। এসব বিপদজনক এলাকায় নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রেখে ফেলা হয়েছে বালুর বস্তা।
সওজ বলছে, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের কাজ শেষ করার পর বাকি কাজগুলোতে হাত দেয়া হবে। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কটি সবার আগে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন এই সড়কগুলো সংস্কার করা না হলে প্রবল বৃষ্টিতে এগুলো যেকোনো সময় ধসে পড়ে শহরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এতে যেমন দুর্ভোগ বাড়বে তেমনি সংস্কার ব্যয় বাড়বে।
সবচেয়ে বড় ঝুঁকির মধ্যে আছে রাঙামাটি চট্টগ্রাম সড়কের বেতার কেন্দ্র এলাকা, মানিকছড়ি আর্মি ক্যাম্প সংলগ্ন, সওজ কারখানা এলাকা, ভেদভেদি বাজার এলাকা, ভেদভেদি পুলিশ চেকপোস্ট, কল্যাণপুর, শিল্পকলা একাডেমি, উন্নয়ন বোর্ড, সমাজ সেবা অফিস সংলগ্ন ডিসি বাংলো সড়ক, তবলছড়ি আনন্দ বিহার, রাঙাপানীর যুব উন্নয়ন এলাকা, রাঙাপানী-আসামবস্তি সংযোগ সড়কের বড় অংশ ধসে পড়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে সড়কগুলো।
সিএনজি মালিক ও চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান মহসীন নোমান বলেন, রাঙামাটি শহরে যান চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। মোড়ে মোড়ে লাল পতাকা আর কাছে গিয়ে দেখলে বোঝা যায় কতটা ঝুঁকির মধ্যে আছে সড়কগুলো। এগুলো এক একটি খুবই বিপদজনক অবস্থায় আছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা না হলে এগুলো ধসে পড়ে পুরো যোগাযোগ বিপর্যয় দেখা দেবে। দ্রুত সময়ে এগুলো সংস্কার করা না হলে যেমন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে তেমনি সংস্কার ব্যয় অনেক বাড়বে।
সওজের রাঙামাটি উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু মুছা বলেন, শহরের সড়কগুলো ১৫টির বেশি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। রাঙামাটি চট্টগ্রাম সড়কটি বেশি গুরুত্ব দেয়ার কারণে বাকিগুলো অন্যগুলো পড়ে আছে। পাহাড় ধসের কারণে রাঙামাটি সড়ক বিভাগের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে। সোমবার সড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাঙামাটিতে আসবেন। তারা এসে সরেজমিন দেখে ব্যবস্থা নেবেন।
(ঢাকাটাইমস/১৮জুন/প্রতিনিধি/জেবি)
মন্তব্য করুন