পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাগরকন্যা

বলরাম দাশ অনুপম, কক্সবাজার
 | প্রকাশিত : ২৫ জুন ২০১৭, ১২:৫২

এবারের ঈদের আগে এবং পরে দুই লক্ষেরও বেশি মানুষ কক্সবাজার দর্শনে আসবে বলে আশাবাদী পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আর তাদেরকে বরণে প্রস্তুত তারা।

এরই মধ্যে হোটেল-মোটেল, কটেজ ও গেস্ট হাউসের প্রায় সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। যদি আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে তাহলে এর চেয়েও চেয়ে বেশি পর্যটক আসবে বলে আশায় ব্যবসায়ীরা।

কক্সবাজার বরাবরই ছুটির সময় কাটানোর একটি জনপ্রিয় জায়গা। ঈদ পার্বনে এলাকার মানুষরা যেমন দূর দূরান্ত থেকে এখানে ফেরে, তেমনি দূরের মানুষরাও স্বজন বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভিড় করে সাগর তীরে। এবার পার্বত্য এলাকায় ভূমিধসের কারণে সেখানে পর্যটনে ভাটা পড়েছে। তাই কক্সবাজারে ভিড় এবার বেশি হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত চালু হওয়া মেরিন ড্রাইভ সড়কও পর্যটকদের নতুন করে আকৃষ্ট হওয়ার কারণ বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এই সড়ক ধরে গেলে এক পাশে সাগর আর অপর পাশে পাহাড়ের ঘন সবুজ আর নিস্তব্ধতা মোহিত করবে যে কাউকে।

পর্যটকদের আগমনকে কেন্দ্র করে হোটেল-মোটেল জোন থেকে শুরু করে সৈকতের কিটকট ছাতা এবং পর্যটক নির্ভর সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নবরূপে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি রেস্টুরেন্টগুলোকেও করা হয়েছে সংস্কার।

শনিবার বিকেলে শহরের হোটেল-মোটেল জোন ও সৈকত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে সংস্কারের চিত্র। হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস ও কটেজগুলোর রঙ পাল্টানোসহ নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। নতুন আসবাবপত্র দিয়ে কক্ষ সাজানো ছাড়াও দেয়ালের পুরনো আস্তরণ তুলে লাগানো হয়েছে প্লাস্টিক পেইন্ট বা ডিসটেমপার। রেস্তোরাঁগুলোকেও ধোঁয়ামোছা করা হয়েছে, কাজ করা হয়েছে রঙ এর।

কক্সবাজার কটেজ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি কাজী রাসেল আহম্মদ নোবেল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বর্তমান সময়ে দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকায় ঈদের পরে পর্যটন মৌসুমে এখানে ভাল ব্যবসা হবে। শুধু কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোন নয় জেলার আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, ইনানী, হিমছড়ি, দরিয়ানগর, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, রাখাইন পল্লী, কক্সবাজার বার্মিজ মার্কেট, রামুর নতুন বৌদ্ধ মন্দির, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো পর্যটক বরণে প্রস্তুত।’

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘ইতিমধ্যে সব রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। তারপরও মানুষ রুম ভাড়ার জন্য যোগাযোগ করছে আমাদের সঙ্গে। আশা করি এবার ব্যবসা অনেক ভাল হবে।

পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জেলা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে। ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী ঢাকাটাইমসকে বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নিরাপত্তার কাজে কাজ সদস্যরা। র‌্যাবের টহলও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

ঢাকাটাইমস/২৫জুন/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :