পূর্বাচল সড়কের দুই পাশে খাল খনন কাজ উদ্বোধন
রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়কের সড়কের দুইপাশে ১০০ ফুট চওড়া খালের খনন শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক। দেড় বছরের মধ্যে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আশেপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যার অবসানের আশা করছে সংস্থাটি।
শনিবার পূর্বাচল সড়কের ডুমনি এলাকায় খননকাজ উদ্বোধন করেন রাজউক চেয়ারম্যান আবদুর রহমান।
ঢাকাটাইমসকে পাঠানো রাজউকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায় রাজউক এবং ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে ২০১৮ সালের আগস্টের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে।
রাজউক বলছে, ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে খ্যাত নিকুঞ্জ, বাড়িধারা, জোয়ারসাহারা, ডিওএইচএস, ঢাকা সেনানিবাস, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কালাচাঁদপুরসহ সংলগ্ন কুড়িল ও পূর্বাচল এলাকায় বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানির জন্য জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ঢাকা মহানগরীর এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকার পানি নিষ্কাষণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষাকালে জনগণকে প্রচন্ড দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আর জনগণের দুর্ভোগ নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়।
প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল পাঁচ হাজার ২৮৬.৯১ কোটি টাকা। তার মধ্যে চার হাজার চার হাজার ৩৮৪.১৮ কোটি টাকা ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির অধীনে ১৩.৬৪৩ কিলোমিটার খাল, ১৩ কিলোমিটার সার্ভিস রোড, ৩৯ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, চারটি ইউলুপ, খালের ওপর ১৩টি আর্চওয়ে ব্রিজ তৈরি করা হবে।
এ ছাড়া এক্সপ্রেসওয়ে ফুটওভার ব্রিজ চারটি, ২৬ হাজার লেনিয়া মিটার, এস এস পাইপসহ ফেন্সিং, একটি পাম্পহাউজ, দুই হাজার ২৭০টি স্ট্রিটলাইট, ১২টি ওয়াটার বাস স্টপ নির্মাণ করা হবে।রাজউক বলছে, বোয়ালিয়া খালের উভয় পাশে ওয়াকওয়েসহ খাল খনন ও বাঁধ নির্মাণ এবং ১৩ কিলোমিটার ঘাস ও গাছ লাগানোর মাধ্যমে প্রকল্পটি দৃষ্টিনন্দন করা হবে। যেখানে নয় লাখ এক হাজার ৫৪৮ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে এই ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের কার্যক্রম চলছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কুড়ির ফ্লাইওভারের চার পাশে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এ ছাড়া কাঞ্চন ব্রিজ হতে কুড়িল পর্যন্ত উচ্চ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা তৈরির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের সংমিশ্রনে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। খালের উভয় পার্শে কার্যকরী জলপরিবহন ব্যবস্থা, খালের সাথে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভূমি উন্নয়নসহ সৌন্দর্য্যবর্ধন হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে রাজউকের দায়িত্ব দিয়েছে প্রকৌশলী নুরুল ইসলামকে (প্রকল্প পরিচালক), প্রকল্প ব্যবস্থাপক করা হয়েছে মো. হোসেন। সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিজামউদ্দিন আহমেদ ও প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর নুর মোহাম্মদ সিদ্দিক সেলিম। এরা সবাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকাটাইমস/০৮জুলাই/এএকে/ডব্লিউবি