দুই বোন খুন: আটকদের রিমান্ড চায় পুলিশ
জামালপুরে দুই বোনকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় বাবা শামীম হোসাইন অজ্ঞাতনামা আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
দুই বোনের নির্মম হত্যার ঘটনার এক দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনও কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। তবে খুনের রহস্য উদঘাটনে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আটক ওয়ারেছ আলী ও বিলাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাঠানো হয়েছে।
প্রবাসী শামীম মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে আসামি না করে অজ্ঞাতনামা আসামি করেন।
তিনি বলেন, তার মেয়েদের কে বা কারা খুন করেছে- তার কোন প্রমাণ বা কারো প্রতি সন্দেহ করতে না পারায় অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।
তবে তিনি বলেন, বিষয়টি পুলিশ খুঁজ-খবর নিচ্ছে- তারাই ভাল জানেন। তার দুই মেয়ের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে পুলিশের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও সহযোগিতা চান তিনি।
তার চাচা ওয়ারেছ আলী ও চাচাতো ভাই বিলাসকে সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ তাদের আটক করেছে।
এ বিষয়ে তার কোন সন্দেহ রয়েছে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তাদের সাথে জমি নিয়ে সামান্য বিরোধ রয়েছে, এজন্য যদি এতবড় ঘটনা ঘটে তাহলে আমার সব জমি তাদের দিয়ে দেব। আমার মেয়েদের তারা ফিরিয়ে দিক।
মামলার ঘটনায় জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য জামালপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-এ আলমকে প্রধান ও সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রাশেদুল হাসান এবং বিডির ওসি জিয়াউল ইসলামকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটির গঠন করা হয়েছে। এছাড়া আসামী গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে খুনের রহস্য উদঘাটন এবং খুনিরা ধরা পড়বে বলে আশাবাদী তিনি।
এদিকে ময়নাতদন্তের দুই বোনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
গত বুধবার সকালে জামালপুর সদরের মেষ্টা ইউনিয়নের দেউলিয়াবাড়ি গ্রামের প্রবাসী শামীম হোসাইনের কন্যা ভাবনা ও লোবনা নামে দুই বোনের নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষ থেকে গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ভাবনা পুগলাই রহিমা কাজিম উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ও ছোটবোন লোবনা হাসিল মতিউর রহমান একাডেমির চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
(ঢাকাটাইমস/৩আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)