কুড়িগ্রামে বন্যায় চার লাখ মানুষ পানিবন্দি
কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমোর নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। বন্যায় চার লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।
সোমবার সকালে ধরলা নদীতে ১৩২ সে.মি. এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৬৮ সে.মি. ও দুধকুমোর নদীর পানি বিপদ সীমার ৩ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন স্থান থেকে বন্যায় দুজনের মৃত্যু এবং দুজন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রাজারহাটের ছিনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুজাম্মান বুলু জানান, কালুয়ারচর ওয়াপদা বাঁধ রাতে ভেঙে যাওয়ার সময় রিফাত (১০) ও লোকমানের স্ত্রী (৩২) পানির তোড়ে ভেসে গেছে। এখন পর্যন্ত তাদের লাশ পাওয়া যায়নি। সদরের কাঁঠালবাড়ীর বাংটুরঘাট , রাজারহাটের কালুয়া ও ফুলবাড়ীর গোড়কমন্ডল এলাকায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে নতুন করে আরও ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় এবং এর উপর পানি ওঠায় জেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। ৯ উপজেলার ৬০টি ইউনিয়নের প্রায় চার লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে ৬০৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পানিতে ডুবে ৮৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তীব্র স্রোতে প্রায় শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর ভেসে গেছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানিয়েছেন, বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বন্যা কবলিত উপজেলাগুলোতে ২৫০ মে.ট. চাল আর পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কাছে নতুন করে দুই হাজার মে.ট. চাল,৫০ লাখ টাকা ও ৩০ হাজার শুকনো খাবার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/প্রতিনিধি/জেডএ)