থাইল্যান্ডের পাকচং ঘাস চাষ হচ্ছে পাকুন্দিয়ায়

সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) থেকে
 | প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট ২০১৭, ১৮:২০

গবাদিপ্রাণি মোটাতাজাকরণ ও সুস্থ স্বাভাবিক বিকাশের জন্য একটি উচ্চ ফলনশীল ঘাস চাষ হচ্ছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায়। এ ঘাসটির উৎপত্তিস্থল থাইল্যান্ডের পাকচং প্রদেশে হওয়ায় এটি পাকচং ঘাস নামে পরিচিত। দেশের আরও কয়েক জায়গায়ও এই ঘাসটি পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া এলাকার মাটি চাষাবাদের জন্য খুবই উপযোগী। এজন্য প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের জমিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে চাষ করা হচ্ছে পাকচং। প্রথমবারের মতো চাষাবাদ করা এ জাতের ঘাসের প্রচুর ফলন দেখা দিয়েছে। পাকুন্দিয়া উপজেলার খামারিদের চাহিদা পূরণ করে এই ঘাসের কাটিং এখন সরবরাহ হচ্ছে এ জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সারা বছর ধরে এর ব্যাপক ফলনের কারণে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খামারিরা এ ঘাস দেখতে আসছেন এবং এর কাটিং সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত এ উপজেলার ১৬০জন খামারিকে পাকচং ঘাসের কাটিং সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন খামারি ও সাধারণ গবাদিপ্রাণি পালনকারী লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন কাটিংয়ের জন্য। সবুজ, রসালো মোটা কাণ্ড, পাতা মসৃন ও খুবই সুস্বাদু বৈশিষ্ট্যের এ জাতের ঘাস সারা বছর চাষ ও ফলন পাওয়া যায়। এ জাতের ঘাসটিতে শুষ্ক পদার্থের পরিমাণ ১৫%। উচ্চ ক্রুড প্রোটিন (১৬-১৮%) সমৃদ্ধ। এ ঘাসের পুষ্টিমান ও উৎপাদন দক্ষতা অন্যান্য নেপিয়ার জাতের ঘাসের তুলনায় অধিক।

অন্যান্য নেপিয়ার জাতের ঘাসের উৎপাদন শীতকালে সাধারণত কম হয় কিন্তু পাকচং জাতের ঘাসের উৎপাদন শীত মৌসুমেও ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। পাকচং ঘাস উঁচু জমিতে চাষ করতে হবে যেখানে বৃষ্টি বা সেচের পানি না জমে। জমিতে ভালোভাবে দুইটি চাষ ও দুইটি মই দিতে হবে। প্রতি একর পাকচং ঘাস চাষের জন্য ১৫ মেট্রিকটন গোবর, ৫০ কেজি টিএসপি, ২৫ কেজি এমওপি, রোপনের ২১ দিন পর ৫০ কেজি ও ৪৫ দিন পর পাঁচ কেজি ইউরিয়া সার দিতে হবে। পাকচং ঘাস রোপনের জন্য লাইন টু লাইন ৪ ফুট এবং কাটিং টু কাটিং তিন ফুট জমি নির্বাচন করতে হবে। প্রতি গর্তে দুটি কাটিং ক্রস করে ৪৫০ কোণে লাগাতে হবে। অধিক ফলন পাওয়ার জন্য শুকনো মৌসুমে ১০ দিন পর পরপর সেচ দিতে হবে।

পাকচং ঘাসটি প্রথম রোপনের ৬০ দিন পর এবং পরবর্তী সময়ে ৪৫-৬০ দিনের মধ্যে কর্তন করতে হবে। কাটিং সংগ্রহের জন্য-৯০-১২০ দিনের মধ্যে কাটতে হবে। একর প্রতি পাকচং জাতের ঘাসের উৎপাদন- বছরে ৪৮ মেট্রিক টন/হেক্টর।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. স্বপন চন্দ্র বণিক ঢাকাটাইমসকে জানান, এই ঘাষ চাষের মাধ্যমে গবাদিপশুর কাঁচা ঘাসের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবং দেশে দুধ ও মাংসের উৎপাদন আশানুরূপভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২৭আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :