রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার আলামত মিলেছে ময়নাতদন্তে

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
 | প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০০:০২

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে আইন বিভাগে পড়ুয়া ছাত্রী রুপাকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যার আলামত মিলেছে ময়নাতদন্তে।

মঙ্গলবার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকেরা এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জনের কাছে জমা দিয়েছেন। টাঙ্গাইলে জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম খান (ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক) প্রতিবেদনটি জমা দেন।

ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা গেছে, মাথায় আঘাতের কারণে রূপার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর আগে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।

ডিএনএ প্রতিবেদন পাওয়ার পরই অভিযোগপত্র হবে বলে জানিয়েছে মধুপুর থানা পুলিশ।

গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে পরিবহনশ্রমিকেরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা করে।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মধুপুরের অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকী ঢাকাটাইমসকে জানান, ময়নাতদন্তের সময় সংরক্ষিত রূপার দাঁত ও পরিধেয় বস্ত্র ডিএনএ পরীক্ষায় পাঠানোর জন্য টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে মঙ্গলবার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন। বুধবার সকালে এগুলো পরীক্ষার জন্য সিআইডির পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। এ প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে। কোন আইনের কোন কোন ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে সে ব্যাপারে আইনগত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

রূপাকে হত্যার পর ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটে চলাচলকারী ছোঁয়া পরিবহনের শ্রমিকেরা স্বাভাবিক ছিল। ঘটনার পরদিন থেকেই তারা স্বাভাবিকভাবে গাড়িও চালিয়েছে। রূপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় গিয়ে লাশের ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), বাসের তত্ত্বাবধায়ক সফর আলী (৫৫) এবং বাসচালকের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট হাবিবুর ও সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে।

৩১ আগস্ট রূপার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/আরকে/ ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :