‘যেকোনো সময়ের চেয়ে বিজিবি এখন শক্তিশালী’
বিজিবির রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী তৌফিকুল ইসলাম পিএসসি বলেছেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বিজিবি এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। সীমান্তের অতন্ত প্রহরী এই বাহিনীর দিন রাত প্রচেষ্টায় সীমান্তে মাদক পাচারের সংখ্যা অনেকাংশে হ্রাস পাচ্ছে। এখন আমাদের লক্ষ্য হুয়াইট কালার ক্রিমিনাল অর্থাৎ মাদকের গডফাদারের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। বিজিবি সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে।
তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলাতে তালিকাভুক্ত এমন ২০০ গডফাদারকে শিগগির আইনের আওতায় আনা হবে। এজন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সদর দপ্তরের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজিবির এই আঞ্চলিক কর্মকর্তা এমন মন্তব্য করেন।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিজিবির কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু সঈদ আল মসউদ, চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আব্দুর রাজ্জাক, পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু ও নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান।
আলোচনা সভা শেষে চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে বিভিন্ন প্রকারের ১০ কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে এক লাখ ৫৮৮ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল, ১০৭ কেজি ৯১৫ গ্রাম গাঁজা, ৩৭ হাজার ৮৩১ বোতল বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ ও ২৩ হাজার ২১১ পিচ ইয়াবা।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রাশিদুল আলম জানান, ২০১৫ সালের ১ মে থেকে ৩০ এপ্রিল ২০১৭ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ভারত থেকে আসা এসব মাদকদ্রব্য বিভিন্ন সীমান্ত থেকে আটক করা হয়েছিল। ধ্বংস করা এসব মাদকদ্রব্যেও আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ কোটি ৪৩ লাখ ২২ হাজার ৭০২ টাকা বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)