আইসিটি এক্সপোতে প্রযুক্তিপণ্যে ছাড়
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো। তিনদিনের এই প্রদর্শনীতে কম্পিউটার ও মুঠোফোনসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্যের সর্বশেষ সংস্করণ ও সেবা মিলছে বিশেষ ছাড়ে। সঙ্গে থাকছে নানা উপহার। আমেরিকান ব্রান্ড আইলাইফের বাংলাদেশের একমাত্র পরিবেশক সুরভী এন্টারপ্রাইজ মেলার ৩৭ নম্বর স্টলে এই ব্র্যান্ডের সকল ল্যাপটপ প্রদর্শন করছে। ল্যাপটপগুলো শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীদের ব্যবহারের জন্য সুলভ মূলে পাওয়া যাবে।
আইলাইফের সর্বাধিক বিক্রিত ল্যাপটপ জেড এয়ার ১৪ ইঞ্চি যার মূল্য ১৬ হাজার ৪৯৯ টাকা। এছাড়াও নতুন অল ইন ওয়ান ফুল টাচ পিসি মাত্র ২৯ হাজার ৯৯০ টাকায়। আইলাইফের প্রতিটি ল্যাপটপে রয়েছে ইনটেল প্রসেসর ও জেনুইন উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম এবং এক বছরের ওয়ারেন্টি। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পরিচয়পত্র প্রদর্শনপূর্বক মেলায় এক হাজার টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট ও উপহার পাবে।
এ মেলায় বিশাল প্যাভিলিয়ন নিয়ে অংশগ্রহণ নিয়েছে দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেড (ডিসিএল)। এই ব্র্যান্ডের মোবাইফোন কিনলেই পাচ্ছেন নগদ ছয়শ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত নগদ ছাড়। সঙ্গে থাকছে নিজস্ব ব্র্যান্ডের টি-শার্ট। এছাড়াও মেলায় ডিসএল-এর ল্যাপটপও রয়েছে। সেভেন জেনারেশনের আই থ্রি, আই ফাইভ, ও আই সেভেন নিয়ে মেলায় হাজির হয়েছে ডিসিএল।
সাশ্রয়ী মূল্য ও কনফিগারেশনের সব ফোন নিয়ে হাজির হয়েছেন ওয়ালটন। এছাড়াও মেলায় ওয়ালটন মোবাইল ও ল্যাপটপ কিনলেই পাচ্ছেন পাঁচ শতাংশ ছাড় । শুধু ছাড়ই নয় ১০ হাজার টাকার উপরে কোনো পণ্য কিনলে সর্বনিম্ন দুইশ টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এবারের মেলায় পান্ডা ইন্টারনেট সিকিউরিটি অ্যান্টি-ভাইরাস পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য রয়েছে উপহার । এক জন ব্যবহারকারীর জন্য পান্ডা ইন্টারনেট সিকিউরিটির মূল্য মাত্র ছয়শ টাকা যা মেলার বাইরে এক হাজার দুইশ টাকা। স্ক্র্যাচকার্ডের মাধ্যমে বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন উপহার জেতার সুযোগ।
মেলা উপলক্ষে দেশে সনির পরিবেশক র্যাংগস ইলেকট্রনিকস সব ক্যামেরা বিক্রিতে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেবে। এছাড়া হেডফোন ও ব্লটুথ স্পিকারেও ১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেবে সনি।
মেলাতে বিভিন্ন স্তরের ক্রেতাদের জন্য আসুস নিয়ে এসেছে নতুন টেকনোলজির চমক। বাংলাদেশে প্রথম ইন্টেলের সর্বশেষ প্রুযুক্তির ‘অষ্টম জেনারেশানের’ প্রসেসরসহ নোটবুক আসুস ভিভোবুক এস ৪১০। নোটবুকটির প্রধান আকর্ষণ এর নজড়কাড়া ন্যানো-এজ ডিসপ্লে। থাকছে ১৬ গিগাবাইট র্যাম ও উন্নত গ্রাফিক্স কার্ড। শুধু তাই নয়, এর কার্যক্ষমতা দ্রুততর করতে হার্ডডিস্ক এর পাশাপাশি এতে থাকছে এসএসডি। নোটবুকটি শিগগিরই দেশের বাজারে উন্মোচিত হবে।
তিন দিনব্যাপী পুরো প্রদর্শনীকে লোকাল ম্যানুফ্যাকচারাস, আইওটি ও ক্লাউড, প্রোডাক্ট শোকেস, ইনোভেশন, মিট উইথ ইন্টারন্যাশনাল ম্যানুফ্যাকচারারস, ডিজিটাল লাইফস্টাইল, মেগা সেলস, সেমিনার, বিটুবি ম্যাচমেকিং ও হাইটেক পার্কের মতো এ রকম ১০টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। ১৩২টি প্যাভিলিয়ন ও স্টলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, কর্মসূচি এবং উদ্যোগগুলো উপস্থাপন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) যৌথ উদ্যোগে এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবার বর্ণাঢ্য প্রদর্শনী। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই এ আয়োজন। যেসব অধুনা প্রযুক্তি ও ধারণা তথ্যপ্রযুক্তির প্রকৃতি ও ব্যবহার অবিশ্বাস্য গতিতে বদলে দিচ্ছে সেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কতটুকু এগোতে পেরেছে, আমাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা কী তা উপস্থাপন করা হচ্ছে এ প্রদর্শনীতে। বিশেষ করে হার্ডওয়ার, ম্যানুফ্যাকচারিং ও গবেষণা খাতের সম্ভাবনা, কর্মপ্রচেষ্টা ও রূপকল্প তুলে ধরা হচ্ছে এতে।
উপস্থাপন করা হচ্ছে হাইটেক পার্ক এবং তথ্যপ্রযুক্তির উৎপাদন অবকাঠামোর অগ্রগতিও। জনসচেতনতা সৃষ্টি, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশ তৈরি, তরুণদের অংশগ্র্রহণ বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ ও উদ্যোক্তা তৈরি করতে সহায়ক হবে এ প্রদর্শনী এমনটাই জানালেন আয়োজকরা।
(ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/ এজেড/জেডএ)