এমপি নাবিলের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ, পক্ষে যুবলীগ

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর ২০১৭, ২১:১৮

খুনের নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ এনে যশোর-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলনের পর পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সমালোচনা করেছে স্থানীয় যুবলীগ। আওয়ামী লীগের সহযোগী এই সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা বলছেন, কাজী নাবিল একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা অন্যায়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতারা অভিযোগ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নাবিল আহমেদের নির্দেশে তার অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন ইমনসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে খুন করিয়েছেন।

তবে কিছুক্ষণের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে যুবলীগ। শহর যুবলীগের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান মিলু এ সময় বলেন, ইমন হত্যাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগের একটি অংশ। তাদের পরিচালিত পত্রিকায় ইমন হত্যার নেপথ্যে এমপি নাবিল আহমেদ ও মোহিত নাথ জড়িত বলে সংবাদ ছাপা হয়েছে। একটি হত্যার এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে ওই পত্রিকা এ ধরনের তথ্য কোথায় পায় সেও প্রশ্ন রাখেন তিনি।

গত সোমবার রাতে শহরের বেজপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা গুলি করে খুন করে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মনোয়ার হোসেন ইমনকে। এ ঘটনার পর যশোর আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই পক্ষ (এক পক্ষের নেতৃত্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এবং অপর পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার) পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহীন চাকলাদারের অনুসারীরা যশোর জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে। আর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সংবাদ সম্মেলন করে কাজী নাবিল আহমেদের সমর্থক যুবলীগ নেতারা।

যুবলীগ নেতারা বলেন, সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিতকুমার নাথ পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাণ্বিত হয়ে মনগড়া ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।

‘যশোরের পুলিশ বিভাগ অনেক চৌকষ। তারা এর আগেও অনেক হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে। ইমন হত্যার রহস্যও তারা উদ্ধার ও জড়িতদের শনাক্ত করতে পারবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দিন মিঠু বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগ নেতাদের আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। লাশ নিয়ে রাজনীতি অনেকদিন ধরে চলছে। ইতিপূর্বে এমন অনেক অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু সেসব হত্যা মামলার পুলিশ প্রতিবেদনে তাদেরই নাম এসেছে যারা নিহতের খাটিয়া ধরে কান্নাকাটি করেছেন। আর তারা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী হিসেবেই পরিচিত। এমপি বা তার অনুসারীদের নাম নেই কোথাও।’

জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মনির হোসেন টগর, সদর উপজেলার যুগ্ম-আহ্বায়ক অশোক বোস প্রমুখ প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/০২নভেম্বর/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :