রাইফার মৃত্যু

ম্যাক্সের সেই চার ডাক্তারের বিরুদ্ধে বাবার এজাহার

ব্যুরো প্রধান, চট্টগ্রাম
| আপডেট : ১৮ জুলাই ২০১৮, ১৯:৩৬ | প্রকাশিত : ১৮ জুলাই ২০১৮, ১৯:০৯

চট্টগ্রামে ‘চিকিৎসকের অবহেলায়’ শিশু রাফিদা খান রাইফার মৃত্যুর ঘটনায় আলোচিত চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় মামলার আবেদন করেছেন বাবা রুবেল খান। বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটায় চকবাজার থানায় তিনি এজাহারটি দায়ের করেন।

চার চিকিৎসক হলেন- বিধান রায় চৌধুরী, দেবাশীষ সেনগুপ্ত, শুভ্র দেব ও ম্যাক্স হাসাপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘এজাহারটি গ্রহণ করে যাচাই-বাচাইয়ের পর এটিকে মামলা হিসেবে গণ্য করা হবে।’

গত ২৯ জুন রাতে ঠান্ডাজনিত অসুস্থতা নিয়ে রাইফাকে নগরের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রাইফা। তার পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা, দায়িত্বরত চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে।

ওই দিন রাতেই এ জন্য দায়ী ডাক্তার এবং নার্সদের আটক করে চকবাজার থানা পুলিশ। কিন্তু ভোর রাতে তাদের ছাড়িয়ে আনতে থানায় গিয়ে অশোভন আচরণ এবং চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা বন্ধের হুমকি দেন বিএমএ নেতা ফয়সল ইকবাল চৌধুরী ও তার সহযোগিরা।

এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আন্দোলনের মুখে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলায় রাইফার মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করে।

অন্যদিকে এ ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি ম্যাক্স হাসপাতালের লাইসেন্সে ত্রুটিসহ ১১টি অসঙ্গতি আছে বলে জানায়।

এ ঘটনার পর ৮ জুলাই ম্যাক্সসহ নগরীর পাঁচটি বেসরকারি হাসপাতালে নানা অনিয়ম ত্রুটির অভিযোগে অভিযান চালায় র‌্যাব।

পরে এর প্রতিবাদ হিসেবে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মালিক সমিতি মহানগর, জেলা, উপজেলায় প্রাইভেট প্র্যাকটিস ছাড়াও হাসপাতাল-ক্লিনিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। তবে সংগঠনটির সভাপতি আবুল কাশেম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ করার কারণ হিসেবে সাংবাদিক কর্তৃক বেসরকারি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানের উপর ‘হামলার’কথা জানানো হয়। অজস্র রোগীদের ২৪ ঘণ্টা ভুগিয়ে এর পরের দিন তারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।

এর আগেও নানা সময় চিকিৎসকদের আইন অমান্য করে সরকারি হাসপাতাল রেখে বেসরকারি হাসপাতালে সেবা দেয়া, চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে গ্রেপ্তার বা হাসপাতালে নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় চিকিৎসকরা হাসপাতাল বন্ধ রেখে পাল্টা চাপ দিয়েছে।

জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এভাবে ধর্মঘট করতে পারে কি না, এই বিতর্কের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এভাবে রোগীদেরকে জিম্মি করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থারও ঘোষণা দিয়েছিলেন একাধিকবার।

ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/ব্যুরো/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

বন্দর নগরী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা