হীরার দাম ৪১৮ কোটি টাকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:১৮

বিশাল আকারের চৌকো গোলাপি রঙের হীরা। দ্যুতি ঠিকরে বের হচ্ছে তার থেকে। এমন এক হীরাই এখন আলোচনার শীর্ষে। ১৯ ক্যারেট ওজনের কাছাকাছি এই হীরা যেমন দুষ্প্রাপ্য তেমনই অভিজাত। এই হীরকখণ্ডই এ বার নিলামে উঠতে চলেছে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। ১৩ নভেম্বর জেনেভায় ঐতিহাসিক জিনিসপত্রের নিলামঘর ক্রিস্টিসে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

রত্নবিশেষজ্ঞদের আশা, এর দাম উঠতে পারে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার(বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪১৮ কোটি টাকা)। এর আভিজাত্যের কারণে এই হীরার নামকরণ করা হয়েছে ‘দ্য পিঙ্ক লিগ্যাসি’। এর আগে এত দামি ও ঐতিহ্যময় রত্ন নিলামে ওঠেনি বলেই তাদের দাবি।

সাধারণত বেশির ভাগ গোলাপি হীরাই এক ক্যারেটের কম ওজনের হয়। সেখানে এই হীরার ওজন ও ঔজ্জ্বল্য এতটাই যে একে ‘বিরল’ বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। চৌকো এই হীরার রঙের ঘনত্বও অন্য সব হীরকখণ্ডকে পিছনে ফেলে দেবে।

আনন্দবাজার জানায়, এমনিতেই গোলাপি হীরা খুবই দুষ্প্রাপ্য, তার ওপর এর ওজন নিয়েও বিস্মিত রত্নবিশেষজ্ঞরা। এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে হংকংয়ে ১৫ ক্যারেটের একটি গোলাপি হীরা নিলামে ওঠে। হীরাটি বিক্রি হয় ২৭২ কোটি টাকায়। আজ পর্যন্ত নিলামের ইতিহাসে সেটিই সবচেয়ে দামি হীরা হিসেবে পরিচিত ছিল।

২০১৩ সালে প্রায় ৬০ ক্যারেট ওজনের একটি হীরা নিলামে ওঠে, যার প্রতি ক্যারেটের দাম উঠেছিল প্রায় ৮৭ কোটি টাকা।

আপাতত এই মূল্যবান হীরকখণ্ডটি জেনেভার ওপেনহাইমার পরিবারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।বিগত দশ বছর ধরে এই পরিবার ডে বিয়ার্স ডায়মন্ড মাইনিং সংস্থার কর্ণধার। যদিও এই হীরকখণ্ডের বর্তমান মালিকের পরিচয় দিতে তারা অস্বীকার করেন।

এই হীরকখণ্ডটি দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও এক আকরিকের খনি থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেন জেনেবার রত্নবিশেষজ্ঞ জিন মার্ক লুনেল। তার মতে, এটিই আপাতত পৃথিবীর সেরা হীরকখণ্ড।

জিন মার্ক লুনেল জানান, ১৯২০ সালের দিকে এই হীরকখণ্ডটিকে কেটে ১৯ ক্যারেটের ওজন দেওয়া হয়। আগামী ১৩ নভেম্বর পৃথিবীর সেরা এই হীরার কত দাম ওঠে তা নিয়ে আধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রত্নব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা।

(ঢাকাটাইমস/১০নভেম্বর/এসআই)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :