নাইকো মামলায় এফবিআই ও কানাডা পুলিশের সাক্ষ্যে আপত্তি খালেদার
৩ জানুয়ারি আপত্তি দাখিল ও শুনানি
নাইকো দুর্নীতি মামলায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেট এবং কানাডীয় দুই পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ ও তাদের সাক্ষ্য দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানাবেন প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ আপত্তি দাখিল ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানির দিন আগামী ৩ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
অভিযোগ (চার্জ) গঠনে শুনানির পর্যায়ে থাকা মামলাটির বিষয়ে তদন্ত করেছিল এফবিআই ও কানাডা পুলিশ। গত ২২ নভেম্বর আদালতে ওই প্রতিবেদন দাখিল ও তাদের সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
রোববার এ বিষয়ে শুনানির নির্ধারিত দিনে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার পক্ষে আপত্তি দাখিল করা হবে জানিয়ে সময়ের আবেদন জানান। ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ধার্য করেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানি করেন। আবেদনে তারা বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের বিষয়ে খালেদা জিয়া আপত্তি দাখিল করবেন। তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তাই এ বিষয়ে তার অনুপস্থিতিতে আজ (রোববার) শুনানিও হতে পারে না।
অন্যদিকে দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, ‘এফবিআই ও কানাডা পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করেছিল। আমরা ওই প্রতিবেদন দাখিল করে তা গ্রহণ ও তাদের সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন জানিয়েছি। এ বিষয়ে আপত্তির কিছু নেই।’
গত ৮ ও ৯ নভেম্বর আদালতে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে আংশিক চার্জ শুনানির হয়েছে। মামলায় বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বিতর্কিত ব্যবসায়ী তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একে এম মোশাররফ হোসেন ও সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হকও আসামি।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নি¤œ আদালতে বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুলটি বাতিল করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/৯ডিসেম্বর/জেডআর/এআর)