স্টেডিয়ামে গিয়ে ক্ষমা চান, কাদেরকে ফখরুল
‘প্রহসনের নির্বাচন’ ও ‘ভোট ডাকাতির’ করায় আর সংলাপ নিয়ে কথা ঘোরানোয় ওবায়দুল কাদেরকে স্টেডিয়ামে গিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আহত যুবদল কর্মী ফয়সাল হোসেনকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
রাজনৈতিক দলগুলোকে গণভবনে ‘সংলাপে ডাকার’ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকরা। এ সময় বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
রবিবার ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, সব রাজনৈতিক দলকে আবার সংলাপে ডাকবেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন একে স্বাগতও জানান। তবে পরদিনই কথা ঘুরিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংলাপ নয়, ডাকবেন শুভেচ্ছা বিনিময়ে।
ফখরুল বলেন, ‘জাতির সঙ্গে যে ভয়াবহ একটা মিথ্যাচার করেছেন-সেই মিথ্যাচারের জন্য, প্রতারণা করেছেন- সেই প্রতারণার জন্য, জাতিকে বঞ্চিত করেছেন- এটার জন্য তারা (আওয়ামী লীগ) যেন স্টেডিয়ামে গিয়ে মাফ চান। তারপরে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও মতো সকলের সঙ্গে আলোচনা করেন, তাহলে একটা পথ তৈরি হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে নির্বাচন বাতিলের এজেন্ডা থাকলে তারা সেখানে অংশ নেবেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব। নইলে যাওয়ার কোনো মানে দেখছেন না তিনি।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সন্ত্রাস করার অভিযোগও করেন ফখরুল। বলেন, ‘গোটা বাংলাদেশকে আজ হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ দখলদারি সরকার। তারা জোর করে জনগণের সমস্ত আমানত লুণ্ঠন করেছে। প্রতিটি জেলা উপজেলায় বিরোধী মতবাদের ওপর হামলা করছে। তারাই ফয়সালকে ছুরিকাঘাত করেছে। উন্নত চিকিৎসা না করা হলে ফয়সাল ভালো হবেন না।’
‘আওয়ামী লীগের হামলার বিষয়গুলো জাতির সামনে উঠে আসছে। তবে তাদের (আওয়ামী লীগ) লজ্জা শরম বলতে কিছু নেই। তারা মহাবিজয়ের কথা বলছে। অথচ মহাবিজয়ে সারা দেশের মানুষের মুখে কোনো হাসি নেই।’
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবদল কর্মী ফয়সালের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে যশোর-৩ আসনে বিএনপির পরাজিত প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, ‘ফয়সালের একটাই অপরাধ ছিল, তিনি নির্বাচনের সময় বিএনপির পোস্টার লাগিয়েছিলেন।’
‘তার ওপর হামলা করে দুই পায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। ছুরির আঘাত মাংস ভেদ করে সাত-আট ইঞ্চি পর্যন্ত ক্ষত সৃষ্টি করে। তার পা দুটো বাঁচানোই এখন মূল চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’