২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা

এবার কুড়িগ্রামে হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে তালা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৪০
অ- অ+

কুড়িগ্রামে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দ-প্রাপ্ত বিএনপি নেতা মো. হানিফের মালিকানাধীন হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে তালা ঝুলাতে বাধ্য করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

সোমবার বেলা ১১টায় শহরের ঘোষপাড়ায় ‘হানিফ কাউন্টারের’ ম্যানেজার নুরু মিয়া ছাত্রদের দাবির মুখে কাউন্টারে তালা ঝুলিয়ে দেন।

রবিবার রাত নয়টায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কাউন্টারে গিয়ে হানিফ পরিবহনে না চড়তে যাত্রীদেরকে অনুরোধ করেন। এসময় তারা সোমবার সকাল থেকে কাউন্টার বন্ধ রাখার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। পরে তারা জেলা মটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বকসীর কাছে স্মারকলিপি দেন।

সকালে কাউন্টারে এসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানতে পারেন, সকাল ৯টায় ঢাকাগামী বাসটি নির্ধারিত সময়ে যাত্রীসহ ছেড়ে গেছে। ভূরুঙ্গামারী উপজেলা থেকে কুড়িগ্রাম হয়ে ঢাকায় চলে যাওয়া বাসটিও সকাল সাড়ে ১০টায় কাউন্টার থেকে যাত্রী নিয়ে চলে যায়। এরপরেই ছাত্রলীগের ছেলেরা কাউন্টার বন্ধ করতে আসে।

জেলা মটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বকসী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘রবিবার রাত ১০টায় ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ছাত্রলীগের ছেলেরা আমার কাছে স্মারকলিপি দেয়। সেখানে ২৪ ঘণ্টা সময় দেখা হলেও সময় না যেতেই সোমবার সকাল ১১টায় হানিফ কাউন্টার বন্ধ করে দেয়া হয় বলে কাউন্টারের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়। বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। এনিয়ে সন্ধ্যায় মটর মালিক পক্ষ বসে যা ভাল হয় তাই করা হবে।’

কুড়িগ্রাম হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার নুরু মিয়া বলেন, ‘হানিফ পরিবহনে হাজার হাজার মানুষ চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। মালিক দোষ করলে তার জন্য আইন আছে। আমরা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। আমাদের পেটে লাথি দিলে আমরা পথে গিয়ে বসব। ‘পরিবহনের লোকজনের অপরাধ থাকলে তাদের বিচার করুক। এখানে আমাদের দোষ কোথায়?’

বিষয়টি নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রকিবুজ্জামান রাকিব ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘হানিফ একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি। সে দেশে ফিরে এসে আত্মসমর্পণ করলে কাউন্টার খুলে দেয়া হবে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার দায়ে যে ৪৯ জনকে সাজা দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফও আছেন। তাকে দেয়া হয়েছে মৃত্যুদ-ের আদেশ।

হানিফ সাভার বিএনপির নেতা ছিলেন এবং ওই আসন থেকে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আগ্রহী ছিলেন। এই হামলার পর দ্বিতীয় দফা তদন্তে ২০১১ সালে আদালতে দেয়া অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদনে তাকে আসামি করা হয়। তার আগেই তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

গত ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত এই মামলার রায় ঘোষণার পর চট্টগ্রামেও হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

ঢাকাটাইমস/১৫অক্টোবর/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ট্রেনে কাটা পড়ে দক্ষিণখান থানার এসআইয়ের মৃত্যু
গরমে আমের সঙ্গে যেসব খাবার খেলে হতে পারে বিষক্রিয়া
নোয়াখালীর চাটখিলে ইয়াবাসহ হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
ভারতের নতুন মহাকাশ অভিযান ব্যর্থ, মাঝপথেই ধ্বংস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা