কুমিল্লায় বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ

কুমিল্লা নগরীতে বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতে নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় মহানগর এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির ওই কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মহানগর এবং দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরাই ওই কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ বলছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ এবং স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার দক্ষিণ জেলা এবং মহানগর ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেন। শুক্রবার পদপ্রাপ্তদের আনন্দ মিছিল এবং বঞ্চিতদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় মহানগর এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে শ্লোগান দিতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী ইমরান হোসেন বলেন, সন্ধ্যার পর পুবালী চত্ত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিএনপি অফিসের সামনে এসে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরে বেশ কয়েকজন যুবক অফিসের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। এতে অফিসের ভেতরে থাকা কিছু আসবাবপত্র পুড়ে যায়। পরে বাহিরে এসে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সদ্য বিদায়ী সভাপতি ফখরুল ইসলাম মিঠু বলেন, কমিটি ঘোষণার পর থেকেই মহানগর এবং দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা গত তিন দিন যাবৎ দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে আসছিল। এরই মাঝে পদপ্রাপ্ত এবং পদ বঞ্চিতদের মাঝে সংঘর্ষে রূপ নেয়। তবে বিএনপির কার্যালয়ে কারা অগ্নি সংযোগ করেছে সেটা আমার জানা নেই।
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, বিএনপি অফিসে আগুন দেওয়ার নেপথ্যে ফ্যাসিবাদের দোসরদের হাত থাকতে পারে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তাছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ এবং অগ্নিসংযোগের বিষয়টি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারপরও বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
(ঢাকা টাইমস/১৭মে/এসএ)

মন্তব্য করুন