বাস-সিএনজি-আলমসাধুর সংঘর্ষে নিহত ৪

চুয়াডাঙ্গায় যাত্রীবাহী বাস, সিএনজি অটোরিকশা ও আলমসাধুর ত্রিমুখী সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে অন্তত পাঁচজন।

রবিবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের উথলী মোল্লাবাড়ি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের আফতাব আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৩২) তার স্ত্রী শ্যামলী খাতুন (২৮), ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নেপা গ্রামের ফকির চাঁদের ছেলে উজ্জল (৩৪) ও সদর উপজেলার ছোট আড়িয়া গ্রামের রমজেত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলী (৩০)।

স্থানীয়রা জানান, জীবননগর থেকে কেজিএন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস চুয়াডাঙ্গা অভিমুখে আসছিলো। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে বাসটি উথলী মোল্লাবাড়ি নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজি ও ধান বোঝাই আলমসাধুর ত্রিমুখি সংঘর্ষ হয়।

এ সময় যাত্রাবাহী বাসটি সড়কের পাশে উল্টে পড়ে। ঘটনাস্থলেই সিএনজির চার যাত্রী রবিউল ইসলাম, তার স্ত্রী শ্যামলী, আব্দুল হালিম ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও সিএনজির পাঁচ যাত্রী।

পরে দর্শনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহম্মেদ সগির নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, কেজিএন পরিবহনের বাসের চালক দুর্ঘটনার সময় মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন।

এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন।

জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস চার জনের মৃত্যু নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করা হবে।

ঢাকাটাইমস/২৩ডিসেম্বর/ইএস