চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বিলিয়ন ডলার হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ মার্চ ২০১৯, ১৬:৩৯

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। ২০০৪ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বর্তমানে বেড়ে ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশি চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির বিশাল সুযোগ রয়েছে, যা বিলিয়ন ডলারে এগিয়ে নেয়া সম্ভব।

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এক প্রতিনিধিদল আজ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে বৈঠককালে এ তথ্য জানান। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ওবায়দুর রহমান, সহ-সভাপতি নেসার মাকসুদ খান, মহাসচিব শাকিল আহমেদ খান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মহীউদ্দিন আহমেদ মাহিন উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, শিল্পখাতে বিনিয়োগ এবং ব্যবসায়ি প্রতিনিধিদের সফর বিনিময়ের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

এ সময় চেম্বারের নেতারা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক ইত্যাদি রপ্তানি করছে। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হচ্ছে। নির্ধারিত কমপ্লায়েন্স অনুসরণ করলে অস্ট্রেলিয়ায় চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানিও বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে সরকারের সাথে অংশীদারিত্বেরভিত্তিতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার প্রসারে চেম্বারের পক্ষ থেকে একক পণ্য প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে বলে তারা শিল্পমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

শিল্পমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশের অন্যতম ব্যবসায়িক ও উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণখাতে ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তিনি বাংলাদেশের চিনি শিল্পখাতে বিনিয়োগে অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে চেম্বার নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

শিল্পমন্ত্রী বাংলাদেশে গুণগতমানের চামড়াজাত পণ্য তৈরি ও মূল্য সংযোজনের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগ আনতে চেম্বার নেতাদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে রাসায়নিক সার, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, আইটি, ওষুধ ও চামড়া শিল্পখাতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। উদীয়মান এসব শিল্পখাতেও অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চাইলে তাদের জন্য পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দ দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

(ঢাকাটাইমস/১১মার্চ/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে স্বেচ্ছায় একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভ্যাল মঙ্গলবার শুরু

চাঁদপুরে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের রেমিট্যান্স গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্প নির্মাণে ব্যবহৃত হবে বসুন্ধরা সিমেন্ট

চামড়া শিল্পের উন্নয়নে করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে: শিল্পমন্ত্রী

ন্যাশনাল ব্যাংকের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা হবে

ফের বাড়ল সোনার দাম, প্রতি ভরি এক লাখ ১৭ হাজার টাকা

সরকারের আর্থিক সম্পদের দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিতে অডিট কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করার তাগিদ

ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সিটি ব্যাংক ও ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মধ্যে ব্যাংকাসুরেন্স চুক্তি স্বাক্ষর

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :