চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডি

দুজনের মরদেহ শনাক্ত হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ মার্চ ২০১৯, ১৬:২৩

পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় আগুনে পুড়ে নিহত ৬৮ জনের মধ্যে ৬৬ জনের মরদেহ শনাক্ত ও হস্তান্তর করা হয়েছে। মর্গে থাকা বাকি দুজনের মরদেহ তাদের স্বজনের বলে দাবি করেছেন তিনটি পরিবারের চারজন। কিন্তু কেউই তাদের শনাক্ত করতে পারছেন না বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চুড়িহাট্টা মোড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর ৬৭ জনের মরদেহ এবং তিনদিন পর একজনের একটি বিচ্ছিন্ন হাত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। পরে হাসপাতালে মারা যান আরও চারজন।

অগ্নিকাণ্ডের পর দুদিনে ৪৮ জনের মরদেহ শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হলেও বাকি ২০ জনের পোড়া মরদেহ চেনার অবস্থা না থাকায় ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।

সিআইডি যে ২০ জনের মরদেহের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করেছে, তাদের মধ্যে ১৮ জনেরই পরিচয় জানা সম্ভব হয়েছে মঙ্গলবার পর্যন্ত। তাদের মধ্যে সকালে যে পাঁচজনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে, তারা হলেন- হাজী ইসমাঈল মোহাম্মদ, ফয়সাল, সারোয়ার, রেহনুমা তাবাসসুম দোলা ও মোস্তফা মোহাম্মদ জাফর ।

দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান শেখ হিমায়েত হোসেন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর সিআইডির দুইটি ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুনে পুড়ে নিহতদের মরদেহের পরিচয় শনাক্তে ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞ দল ডিএনএ নমুনা (রক্ত, টিস্যু, হাড়) সংগ্রহ করে। ২১ ফেব্রæয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে যৌথভাবে হাসপাতালের মর্গ থেকে ৬৭ জনের মরদেহের নমুনা এবং ২৩ ফেব্রæয়ারি একটি বিচ্ছিন্ন হাতের আলামত সংগ্রহ করা হয়।

সিআইডি প্রধান বলেন, ‘৬৮ জনের মধ্যে ৪৮ জনের মরদেহ শনাক্ত হওয়ায় ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়াই পরিবারের কাছে দেওয়া হয়। বাকি ২০ জনের মরদেহের দাবিদারদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।’

‘ঢামেক হাসপাতালের মর্গে অস্থায়ী বুথ স্থাপন করা হয়। ২২ ফেব্রæয়ারি এই বুথে দাবিদারদের কাছ থেকে রেফারেন্স ডিএনএ সংগ্রহের কাজও শুরু হয়। সর্বশেষ গত ১১ মার্চ ২৪ জন নিখোঁজ ব্যক্তির ৫২ জন স্বজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে তাদের মধ্যে একটি পরিবার তাদের নিখোঁজ স্বজনকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পেয়েছে। সেক্ষেত্রে নিখোঁজের সংখ্যা দাড়ায় ২৩ জনে।’

সিআইডি প্রধান বলেন, ‘ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরিতে দুই ধাপে পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম ধাপে গত ৫ মার্চ ১১ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে পাঁচজনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়, দুজনের মরদেহ অংশ হিসেবে বিশেষ প্রমাণিত এবং দুজনের মরদেহের কারো সঙ্গে মিল পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ মর্গে সংরক্ষিত ১৮ জনসহ মরদেহের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৬ জনে।’

‘দাবি করা ২৩টি পরিবারের সঙ্গে ১৬ জনের মরদেহ শনাক্ত হয়, একটি পরিবার ডিএনএ পরীক্ষার আগেই মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যায়। অন্য তিনজনের মরদেহ তিনটি পরিবারকে ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়াই দেওয়া হয় এবং তিনটি পরিবারের সঙ্গে দাবি করা মরদেহের মিল পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ মোট ২০টি পরিবারের সঙ্গে ২০ জনের মরদেহের মিল পাওয়া যায়।’

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন) শেখ মোহাম্মদ রেজাউল হায়দার, অতিরিক্ত ডিআইজি (ফরেনসিক) আবুল কালাম আজাদ, বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার, উপ প্রধান ডিএনএ এনালিস্ট আহমেদ ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১২ মার্চ/এএ/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

পারিবারিক মূল্যবোধ রক্ষার ওপর জোর দিতে হবে: ভূমিমন্ত্রী

সরকার দুর্নীতি দমন না করে বিএনপি দমনে ব্যস্ত: সালাম

স্যাটেলাইট ইমেজে জানা যাবে কোথায় গাছ লাগাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

উপজেলা নির্বাচন: ১২২ উপজেলায় প্রতীক বরাদ্দ সোমবার

বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ইতালির ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ফুডসিস্টেম ড্যাশবোর্ডে সহজ হবে নীতিমালা প্রণয়ন: খাদ্য সচিব

নিরাপদ সড়ক গড়তে উবার-বিআরটিএ’র যৌথ উদ্যোগ

উন্নত বাংলাদেশ মানে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা: নৌ প্রতিমন্ত্রী

এপ্রিলে সড়কে ঝরেছে ৬৭৯ প্রাণ, ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকার বেশি

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর কাছে ভিসাসহ তিন সমস্যায় সহযোগিতা চাইলেন কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :