এফআর টাওয়ারে আগুনের মামলায় রাজউক কর্মকর্তা কারাগারে

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ জুলাই ২০১৯, ১৯:৩৩

রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সহকারী পরিচালক (নিরীক্ষা ও বাজেট) মো. সদরুল আলমের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।

গত সোমবার রাজধানীর বনানীর রাজউক কোয়াটারের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দুদক। এরপর দুদকের উপপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিক এদিন তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে আদালতে হাজির করেন

আবেদনে বলা হয়, মামলার এফআর টাওয়ার নামের ভবনের ১৯ থেকে ২৩ তলা পর্যন্ত নির্মাণে রাজউকের স্ট্রেট শাখার কোনো ছাড়পত্র নেয়া হয়নি। এমনকি ফি প্রদান ও নকশা অনুমোদন করা হয়নি। অবৈধভবে নির্মিত ২০ থেকে ২২ তলা অফিস স্পেস বিক্রির জন্য ২০০৫ সালের ১৩ মার্চ চুক্তি হয়। ওই চুক্তি জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানিতে দাখিল করে ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়। ওই ঋণের বিপরীতে ওই বছর ৯ ফেব্রুয়ারি একটি বন্ধকী দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে ২০ থেকে ২২ তলার স্পেস বন্ধক প্রদান করা হয়। বন্ধক প্রদানের পূর্বে রাজউক হতে অনুমতি গ্রহণ করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি সদরুল ২০০৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বেআইনিভাবে ওই অনুমতি দেন। চলতি বছর ২৮ মার্চ ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের কারণে ২৫ জন মানুষ নিহত এবং ৭৩ জন মানুষ মারাত্মকভাবে আহত ও চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করেন। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বর্থে আসামিকে জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন।

মামলার শুনানিকালে আসামিপক্ষে এম খায়রুজ্জামান জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জামিনের বিরোধিতা করেন।

এর আগে এ মামলায় টাওয়ারে অবৈধভাবে নির্মিত ২৩ তলার মালিক বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলাম আটকের দশ দিন পর গত ১১ এপ্রিল এবং জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক গত ৬ মে এক মাস পাঁচ দিন পর জামিন পান। গত ৩০ মার্চ তারা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। আর গ্রেপ্তার না হওয়া রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল গত ২৩ জুন আত্মনমর্পণ করেই জামিন পান।

মামলায় অভিযোগ, ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক, টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভিরুল ইসলাম এবং রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল এফ আর টাওয়ার বিল্ডিং ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ অসৎ উদ্দেশ্যে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার লোভে নির্মাণ বিধিমালা লংঘন করে টাওয়ারে ভবিষ্যতে থাকা সম্পত্তি ও লোকজনের জানমালের নিরাপত্তার বিষয় লক্ষ্য না রেখে কেবলমাত্র নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার মানসিকতায় চরম অবহেলা ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ কার্যকলাপের ফলে এফ আর টাওয়ারে মর্মান্তিক এই আগুনের ঘটনা ঘটে। এই অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন নিরীহ পুরুষ ও মহিলা এবং শতাধিক লোক আহত মারাত্মভাবে আহত হন। এছাড়াও এফ আর টাওয়ারের বিল্ডিংসহ পার্শ্ববর্তী বিল্ডিং সংলগ্ন তথা রাষ্ট্রের সম্পত্তি মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতিসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।

১৯৯৬ সালের এফ আর টাওয়ারের নকশা অনুমোদন দেয়া হয়। অনুমোদিত নকশা ভবনের উচ্চতা ১৮ তলা, যদিও নির্মাণ করা হয়েছে ২৩ তলা। পরবর্তী সময়ে ২০০৫ সালে এফ আর টাওয়ারের মালিকপক্ষ রাজউকের কাছে আরেকটি নকশা জমা দেয়। ১৯৯৬ সালে মূল যে নকশা রাজউক অনুমোদন দিয়েছিল তার সাথে নির্মিত ভবনটির অনেক বিচ্যুতি রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুলাই/আরজেড/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি

আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি

কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

সাউথ এশিয়ান ল' ইয়ার্স ফোরাম ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল চ্যাপ্টারের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন

আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় চট্টগ্রামের ডিসি এসপিসহ চার জনকে হাইকোর্টে তলব

১১ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি ২৯ জুলাই

২৮ দিন পর খুলল সুপ্রিম কোর্ট

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :