১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড: যড়যন্ত্রকারীদের বিচার দাবি নানকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ আগস্ট ২০১৯, ১৮:৩৭

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকা-ের সাথে জড়িত দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক যড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে তাদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় তিনি দাবি জানান। বাংলাদেশ (আইইবি) সদর দফতর এবং ঢাকা কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে আইইবির সেমিনার কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নানক বলেন, ‘আগস্ট মাস এলেই শুধু শোকাবহ নয়, আমরা বাঙালি জাতি আতঙ্কিত হই। এই আগস্ট মাস এলেই মনে পরে ৭৫ এর ১৫ আগস্টের কথা। আগস্ট মাস এলেই মনে পরে খালেদা-নিজামীদের চার দলীয় জোট ক্ষমতার আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে। আবার তারা ক্ষমতা দখল করে এদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করেছিল।’

‘আজকে আমাদের এদিনে পরিষ্কার কথা, বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত, অপারেশনের সাথে যার জড়িত তাদের বিচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে। এবারের ১৫ আগস্টে আমাদের উদাত্ত আহ্বান থাকবে জাতীয়-আন্তর্জাতিক যড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যড়যন্ত্র হচ্ছে, যড়যন্ত্র চলছে। আজকে যখন বাংলাদেশে পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে চলেছে তখন অপপ্রচার চালায় মানুষের কল্লা লাগবে। আজকের বাংলাদেশে মা যখন তার সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে যায় তখন গণপিটুনি দিয়ে অপপ্রচারকারী, ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে পিটুনি খেয়ে লাশ হয়ে ফিরে আসে। কাজেই এই ষড়যন্ত্রকে আমাদের মোকাবেলা করতে হবে।’

‘যদি ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে না পারি তাহলে আমাদের সাথে যে দুই বিষধর সাপ (বিএনপি-জামায়াত) চলছে তারা সুযোগ পেলেই আমাদের ছুবল দিবে। এই বিষধর সাপ দুটি আমাদের গণজাগড়ন দেখলেই গর্তে ঢুকে যায়। এই বিষধর সাপদের সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। বিএনপি জামায়াতকে রাজনৈতিক মাঠ থেকে নিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে।’

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার, আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো কাজ করছে উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘ডেঙ্গুতে ফিলিপাইনে লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। পাঁচশতাধিক মানুষ সেখানে মারা গেছে। চীনের মত দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে দেখা দিয়েছে। যখন ডেঙ্গুর কথা আসে তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেখে নাকি জরুরি অবস্থা জারি করতে হবে। কি কারণে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করতে হবে?’

‘বাংলাদেশের মানুষ এখন সচেতন। বাংলাদেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষেরা সকল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধ ভাবে ডেঙ্গু মোকাবেলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি মুহূর্তে লন্ডন থেকে খবর রাখছেন। নিদের্শনা দিচ্ছেন সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ চালিয়ে যাবো। যেভাবে আমার জঙ্গিবাদকে মোকাবেলা করেছি, জনগণের সহযোগিতায় এই মরণব্যাধি ডেঙ্গুকেও আমারা পরাজিত করবো।’

অনুষ্ঠানে আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন শিবলুর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)এর প্রেসিডেন্ট এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, আইইবির সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী নুরুল হুদা প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/৩আগস্ট/কারই/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :