অল্পতেই গ্যাস-অম্লের ওষুধ খেলে বিপদ

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:৪৩
অ- অ+

পিপিআই বা প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর অর্থাৎ ওমিপ্রাজোল গোত্রের ওষুধ বাজারে আসামাত্রই একচেটিয়া বাজার শুরু হল তাদেরই৷ কারণ, পেটের অ্যাসিড দমিয়ে রাখতে এরা অনন্য৷ সকালে উঠে একটি খেয়ে নিলেই ব্যস! যত অনিয়মই হোক না কেন, তার পর সারা দিন আর কষ্ট নেই৷ এই ওষুধ অ্যাসিড বেরনোর পথ আটকে দেয় বলে রিফ্লাক্স ও আলসারের চিকিৎসায় এর ব্যবহারও রয়েছে।

বিজ্ঞানীদের মতে স্ট্রেস কম থাকা, কায়িক শ্রম করা ও ওজন কম থাকার কারণে গ্রামের মানুষের অম্বল শহুরে মানুষদের তুলনায় কম হয়৷ শহুরে মানুষও যদি জীবনযাপনের কিছু দিক রপ্ত করতে পারেন, ওষুধের প্রয়োজন তারও অনেক কমে যেতে পারে৷

কিন্তু তা আর হয় কই! গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় আমরা খুঁজি চটজলদি সমাধান৷ তারই ফলে এই জাতীয় ওষুধের অপব্যবহার শুরু হয়েছে৷ এর মাশুল গুনতে হচ্ছে আমাদেরই। শরীরে এর প্রভাবে নানা ক্ষতি হতে পারে বলে শঙ্কা চিকিৎসকদেরও। আপনিও এই সব অপব্যবহারে অভ্যস্ত কি?

অপব্যবহার

ব্যথার ওষুধে অম্ল হলেও ভরা পেটে দু’-চার দিন খেলে কোনও সমস্যা হয় না৷ কিন্তু ব্যথার ওষুধের সঙ্গে পিপিআই খাওয়া স্বভাবে দাঁড়িয়েছে সবার৷ গ্যাস-অম্ল প্রবণতা না থাকলে এই পিপিআই অপ্রয়োজনীয়।

হঠাৎ অম্বলে সবচেয়ে ভাল ওষুধ লিকুইড অ্যান্টাসিড৷ কিন্তু মানুষ পিপিআই খান৷ সে যতক্ষ ণে কাজ শুরু করে তত ক্ষণে জল–টল খেলে অ্যাসিড এমনিই সেরে যেত।

অধিকাংশ অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে এই ওষুধ খেতে লাগে না৷ তবু চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়েই আমরা কিনে থাকি ও বাড়তি সতর্কতায় খেয়েও ফেলি। কখনও কখনও চিকিৎসকরাও রোগীকে মানসিক আরাম দিতে এই ওষুধ দিয়ে রাখেন প্রেশক্রিপশনে। হাসপাতালে ভর্তি হলেই পিপিআই লাগে এমন নয়৷ কিন্তু কখনও দেওয়া হয় তাও৷

গ্যাস–বদহজমের সঙ্গে অম্বল না থাকলে এর দরকার নেই৷ তাও এই ওষুধটি খাওয়ার চল হয়ে গেছে৷

আলসার বা রিফ্লাক্স কমাতে ৬–৮ সপ্তাহ পিপিআই খাওয়ার নিয়ম৷ কিন্তু শুরু করার পর অনেকেই বছরের পর বছর খেয়ে যান৷ কখনও খান জীবনভর৷

জীবনযাপনের অনিয়ম, মদ্যপান, স্ট্রেস ইত্যাদি কারণে অনেকের অম্ল লেগে থাকে৷ আর তারা মূল সমস্যার সমাধান না করে পিপিআই খেয়ে যান৷ এবং এর কুফল শুরু হয়৷

পিপিআই–এর কুফল

অপুষ্টি, রক্তাল্পতা, ভিটামিন বি১২–র ঘাটতি হয় অনেকের৷

কম বয়সে ডিমেনসিয়া বা চিন্তাভাবনার অসঙ্গতির খবরও পাওয়া যাচ্ছে আজকাল৷

প্রকোপ বাড়ে অস্টিওপোরোসিস, ব্যথা–বেদনা ও হাড়গোড় ভাঙার৷

নিয়মিত খেলে পাকস্থলীতে অ্যাসিডের পরিমাণ কমে ক্ষতিকর জীবাণুর বাড়বাড়ন্ত হয়৷ ডায়ারিয়া হয় কথায় কথায়৷ শয্যাশায়ী বয়স্ক মানুষের নিউমোনিয়ার আশঙ্কা বাড়ে৷

ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
১৮ জুলাই ‘জুলাই আন্দোলন’ স্মরণে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের ঘোষণা
সোমালিয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত পাঁচজন
শাহরুখ খানের পছন্দের খাবার যেভাবে খেলে বশে থাকবে ওজন, জানালেন নিজেই
মঙ্গল গ্রহে প্রাণ নেই কেন? নাসার নতুন গবেষণায় মিলল চমকপ্রদ তথ্য
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা