‘সাগরসহ হলি আর্টিজানে হামলাকারীরা জঘণ্য অপরাধ করেছে’
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার সাত আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে হাদিসুর রহমান সাগরও একজন।
হাদিসুর রহমান সাগর জয়পুরহাট সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের কয়রাপাড়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক হারুনূর রশিদের ছেলে। তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে মেঝ ছেলে, সাগর ২০০৭ সালে বানিয়াপাড়া মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও পাস করতে পারেননি। এরপর কিছুদিন ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধি হিসাবে চাকরি করেন তিনি।
সাগরের মা আছিয়া বেগম জানান, ‘হলি আর্টিজান ট্রাজেডির বেশ কয়েক বছর আগে বাড়ি থেকে তিনি নিরুদ্দেশ হয়। মাঝে মধ্যে সে বাড়ি আসলে তার চালচলনে বেশ পরিবর্তন দেখা যায় পরে জানা যায়, সে জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত।’
সাগরের বড় ভাই ঢাকায় গার্মেন্টেসে, ছোট ভাই জাহাজ কোম্পানিতে চাকরি করে। দুই বোনের বিয়ে হয়েছে, অসচ্ছতার কারণে সাগরের মা বাড়িতেই ছোট একটি মুদি দোকান দিয়ে কোন রকমে সংসার চালান।
সাগর গ্রেপ্তার হওয়ার পর কিছুদিন পর থেকেই তার বড় বোন হাদিয়া ও ছোট মেয়ে আতিয়া কয়রাপাড়া গ্রামে দাদার বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছেন।
সাগর এর মা আছিয়া বেগম আরো বলেন, ‘গ্রামের মানুষের মাধ্যমে জানতে পারলাম আমার ছেলেসহ বেশ কয়েকজন বিপদগামী যুবক হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়েছে, এরা অবশ্যই অপরাধী।’
আমদই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহানূর আলম সাবু জানান, ছেলেটা অনেকদিন ধরে এলাকা ছাড়া ছিল। পরে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত থাকার কথা জানতে পারি, আজ তার মৃত্যুদণ্ড হয়েছে এটাও মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম।
(ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/এলএ)