আইনজীবী হত্যা: পাঁচ জেএমবি সদস্যের ফাঁসি বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:১৬ | প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:১৪
ফাইল ছবি

ঝালকাঠি আদালতের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হায়দার হোসাইন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যের ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।

এ মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি করে বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন।

রবিবার রায়ের অপরারেটিভ পার্ট ঘোষণা করলেও সোমবার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অংশ ঘোষণা শেষ করেন আদালত।

যাদের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ বহাল রাখা হয়েছে তারা হলেন, বরগুনার বেল্লাল হোসেন ও আবু শাহাদাৎ মো. তানভীর ওরফে মেহেদী হাসান, খুলনার মুরাদ হোসেন, ঢাকার ছগির হোসেন ও আমীর হোসেন। আসামিদের মধ্যে বেল্লাল হোসেন পলাতক রয়েছেন। বাকিরা কারাগারে।

আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এস এম শাহাজান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।

আদালত থেকে বেরিয়ে বশির আহমেদ জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা সাক্ষ্যপ্রমাণ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে হাইকোর্ট পাঁচ আসামিরই ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করলে আপিল বিভাগে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের সাজা স্থগিত থাকবে। আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি হওয়ার পরেই তাদের সাজা কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল জেএমবি ক্যাডারদের গুলিতে নিহত হন হায়দার হোসাইন। তিনি ২০০৫ সালে জেএমবির আত্মঘাতী হামলায় নিহত ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সোহেল আহম্মেদ এবং জগন্নাথ পাঁড়ে হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন।

দুই বিচারক হত্যা মামলায় ২০০৬ সালের ২৯ মে শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম, জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমানসহ সাতজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। মামলা পরিচালনার সময়ই হায়দার হোসাইনকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল জেএমবি।

শায়খ আবদুর রহমানসহ সাত জঙ্গির ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয় ২০০৭ সালের ২১ মার্চ। এর ২০ দিন পর হায়দার হোসাইনকে গুলি করে হত্যা করে জেএমবির ক্যাডাররা।

এ ঘটনায় হায়দার হোসাইনের ছেলে তারিক বিন হায়দার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ঝালকাঠি থানায় হত্যা মামলা করেন। তিন বছর তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি জেএমবির পাঁচ ক্যাডার বরগুনার বেল্লাল হোসেন ও তানভীর ওরফে মেহেদী হাসান, খুলনার মুরাদ হোসেন, ঢাকার ছগির হোসেন ও আমীর হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। বিচার শেষে সাবেক এই পিপি হত্যা মামলায় ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠির একটি আদালত পাঁচ আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেন। পরে মামলাটি ডেথরেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে। এছাড়া আসামিদের পক্ষ থেকেও আপিল করা হয়। ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি করে হাইকোর্ট রায় দেন।

ঢাকাটাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/এআইএম/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যামামলা: আপিল শুনানি দ্রুত করতে আসামির আবেদন

পরিবেশ রক্ষায় ঢাকাসহ সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট

এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকাজ বন্ধ ঘোষণা

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী আর নেই

লভ্যাংশের টাকা আত্মসাৎ মামলা: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরও শক্তিশালী হবে: প্রধান বিচারপতি

জি কে শামীমের জামিন ঘিরে আবারও প্রতারণা, এক সপ্তাহ নিষিদ্ধ আইনজীবী 

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে মামলা

ধর্ষণ মামলায় মুশতাক-ফাওজিয়ার স্থায়ী জামিন

ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :