চ্যালেঞ্জের মুখে অমিত শাহের ‘চাণক্য’ তকমা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:০৩| আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:৪৯
অ- অ+

ভারতের রাজধানী দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির। এ নিয়ে ফল প্রকাশের দিনও নীরব ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এবার এক অনুষ্ঠানে মোদি ফিরিস্তি দিলেন গত আট মাসের কাজের। তিনি বলেন, দুনিয়ার সবথেকে যুব দেশে ‘টোয়েন্টি-টোয়েন্টি’ ম্যাচের গতিতে খেলছে সরকার। ৩৭০ থেকে রামমন্দির, এমনকি নাগরিকত্ব আইনের কাজও শেষ। তবে এসব স্রেফ ‘নমুনা’। আসল কাজ শুরু এখান থেকেই। এমন অনেক ফয়সালা হবে, সেঞ্চুরি নয়, ডবল সেঞ্চুরি হবে।

কিন্তু এদিনও মোদির সঙ্গে দেখা যায়নি অমিত শাহকে। দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও আসেননি তিনি। তবে বিমস্টেক দেশগুলোর সম্মেলন উদ্বোধন করার কথা অমিতের। এটি অনুষ্ঠিত হবে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে।

২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে আশির মধ্যে সত্তরের বেশি আসন পাইয়ে দিয়ে মোদির থেকে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ শিরোপা পেয়েছিলেন অমিত শাহ। তারপর থেকেই তাকে বিজেপির ‘চাণক্য’ বলা হয়।

দিল্লি বিপর্যয়ের পর দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, শাহ কি এবার ‘চাণক্য’ তকমা খোয়াবেন? এক নেতার দাবি, ‘শুধু মেরুকরণে ভর করে প্রচার করা তো শাহের ভুল কৌশল ছিলই। তার উপর বুথ-ফেরত সব সমীক্ষা যখন আপ ঝড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল, তখনও সংশয়ে ছিলেন শাহ। প্রকাশ্যে আসেননি। ঘনিষ্ঠদেরও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি দল কত আসন পেতে চলেছে।’ এর মধ্যে ভেসে আসছে অন্তর্ঘাতের তত্ত্বও। পাঁচ বছর আগে এই দিল্লিতেই সঙ্ঘ ও বিজেপি কর্মীরা কাজ করেননি। এ বারেও কি তাই হল?

অনেকে অবশ্য মনে করেন, শাহ এত সক্রিয় না-হলে ফল আরও শোচনীয় হত। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘আমরা হারিনি। আপের পক্ষে জমি আগে থেকেই তৈরি ছিল’। কিন্তু দলে প্রশ্ন, এটা আগাম জানা সত্ত্বেও শাহের কৌশল কেন কাজে এল না?

গত লোকসভায় ‘থ্রি নট থ্রি’ আসন আনলেও একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হচ্ছে। দিল্লির ভোট নিজের লড়াই হিসেবেই নিয়েছিলেন শাহ। বিজেপির একটি অংশ বলছে, উত্তরপ্রদেশে মেরুকরণের অস্ত্র কাজ করলেও দিল্লিতে তা ব্যর্থ হয়েছে। এখানে মুসলিমরা সংগঠিত হয়েছেন, কিন্তু হিন্দুরা হননি। তা হলে কি ব্যর্থ হচ্ছে শাহের ‘মাইক্রোম্যানেজমেন্ট’? জমির সঙ্গে যোগ ছিন্ন হচ্ছে? প্রকাশ জাভড়েকর অবশ্য বলছেন, ‘এর পর বিহার ও বাংলায় জিতলে কী বলবেন? মেরুকরণ নয়, উন্নয়নেই বেশি জোর ছিল প্রচারে। কিছু রাজ্যে হার হয়েছে, আমরা শিক্ষা নেব।’ সূত্র: আনন্দবাজার

ঢাকা টাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/একে

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দৈনিক কতটুকু গরু-খাসির মাংস খাওয়া নিরাপদ
নগর ভবনে কোনো উপদেষ্টা বা প্রশাসক বসতে পারবেন না: ইশরাক
রাজবাড়ী-গুলিস্তান রুটে বিআরটিসি বাস উদ্বোধন, আরও যে সুখবর দিলেন চেয়ারম্যান 
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা, আসতে পারে নির্বাচনি রোডম্যাপ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা