যশোরে আরো চারজনের করোনা শনাক্ত

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল ২০২০, ১৮:১০

যশোরে নতুন করে চারজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে শার্শার একজন নারী (৩২) রয়েছেন। তিনি পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী। একটি ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র তার কর্মস্থল হলেও তিনি চলমান করোনা পরিস্থিতিতে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে কাজ করেছেন।

অন্য তিনজনের মধ্যে দুজন চৌগাছা উপজেলার একজন গহবধু ও স্কুলছাত্র। আরেকজন সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি এলাকার বাসিন্দা যুবক (২৪)। চুড়ামনকাটির যুবক প্রায় চার দিন আগে ঢাকা থেকে ফিরেছেন। তিনি সেখানে একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন বলে জানিয়ে স্থানীয়রা বলছেন, ওই তরুণকে তারা জোর করে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, শার্শার ওই নারী লক্ষ্মণপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে ইমিগ্রেশনগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। দেশের প্রধান স্থল ইমিগ্রেশন বেনাপোলে সেই সময় আশপাশের স্বাস্থ্যকর্মীদের নিযুক্ত করা হয় বাংলাদেশ-ভারত যাতায়াতকারীদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের কাজে। ওই নারী কিছুদিন বেনাপোল ইমিগ্রেশনে এই কাজ করেছেন। যশোরের সিভিল সার্জন অফিস এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

অন্যদিকে চুড়ামনকাটি উত্তরপাড়ার যে তরুণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, দিন চারেক আগে তিনি ঢাকা থেকে ফেরেন। চুড়ামনকাটিতে তার নানাবাড়ি। পিতৃহীন এই তরুণ নানাবাড়িতেই বেড়ে উঠেছেন। সেখান থেকে তিনি ঢাকার আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় কাজ করতে চলে যান বলে স্থানীয়রা বলছেন।

স্থানীয় সংবাদকর্মী আনিসুর রহমান বুধবার দুপুরে বলেন, ‘লকডাউনের’ মধ্যে ঢাকা থেকে ফিরে আসায় ওই তরুণের ওপর রুষ্ট হন স্থানীয়রা। শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ না দেখা গেলেও স্থানীয়রা তাকে জোর করেই যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ জানান, ‘ফ্লু কর্নার’-এ ভর্তি করা হয়েছিল ওই তরুণকে। তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে মঙ্গলবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠানো হয়। যবিপ্রবি ল্যাবে বুধবার সকালে যে ১৩টি নমুনা পজেটিভ বলে শনাক্ত হয়, তার মধ্যে একটি এই তরুণের।

চুড়ামনকাটি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না জানান, বিষয়টি জানার পর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সেনাবাহিনী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা চুড়ামনকাটিতে যান। তারা গ্রামটির উত্তরপাড়া লকডাউন করে দেন। এখন ওই তরুণ বাড়িতেই অবরুদ্ধ আছেন।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, এই জেলায় নতুন করে আক্রান্ত চারজনকেই নিজ নিজ বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এই দায়িত্ব পালন করছে একাধিক মেডিকেল টিম। দরকার হলে রোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :