সেবা দিতে নিউ ইয়র্ক থেকে দেশে ফিরছেন আলোচিত ডা. ফেরদৌস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ জুন ২০২০, ২২:৩৪ | প্রকাশিত : ০৬ জুন ২০২০, ২১:৩৮

করোনা মহামারীর শুরু থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার থেকে চিকিৎসা পরামর্শ পেয়েছেন অনেকেই। সেই পরামর্শদাতা চিকিৎসক নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সাইনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকার দেশের মানুষকে সরাসরি সেবা দিতে ফিরছেন দেশে।

শনিবার একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার দেশে ফেরার কথা। জন্মস্থান কুমিল্লা এবং ঢাকায় তিনি করোনার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগাক্রন্ত মানুষকে বিনামূল্যে সেবা দেবেন।

গত মার্চ মাসে নিউ ইয়র্কে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে অন্যসব চিকিৎসকরা যেখানে চেম্বার বন্ধ করে বাসায় চলে গিয়েছিলেন সেই দুঃসময়ে ডা. ফেরদৌস খন্দকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। চেম্বার খোলা রেখে করোনা আক্রান্ত মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন।

শুধু নিউইয়র্কে নয় একইভাবে দেশেও তিনি অনেক ধরনের সহায়তা করছেন। বাংলাদেশের চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য ১৫ হাজার কেএন-৯৫ মাস্ক ছাড়াও মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাভস পাঠিয়েছেন। সম্প্রতি প্লাজমা দিলে তাদের জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন এই চিকিৎসক।

চিকিৎসা সেবা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে কাগজপত্রহীন প্রবাসীদের বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য সামগ্রীও পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।

নিউইয়র্কের স্থানীয় গণমাধ্যম নিউইয়র্ক মেইলকে একথা নিজেই জানিয়েছেন ডা. ফেরদাউস খন্দকার। করোনা মহামারীর এই নিজ দেশের মানুষের পাশে থাকতে চান তিনি। তার ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হলেও বাংলাদেশে ক্রমেই রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

খ্যাতমানা এই চিকিৎসক জানান, নিউইয়র্কের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ঘরে থাকার কারণে বাঙালি কমিউনিটির মধ্যে করোনা আক্রান্ত নেই বললেও চলে। কিছুদিন আগেও বাসায় গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। এখন পরিস্থিতি অনেক ভালো। কিন্তু বাংলাদেশে আস্তে আস্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য আমার মনে হচ্ছে মহামারির এই দুঃসময়ে দেশের মানুষের পাশে থাকাটা খুব জরুরি।

তিনি আরো বলেন, ‘দেশ আর দেশের মানুষের জন্য সবসময় মন কাঁদে। ফ্লাইট চালু থাকলে আরো আগেই যেতাম। আমার দ্বারা যদি কিছু মানুষের উপকার হয় তাহলে সেটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এলাকায় গেলে আমি সেই কাজটি খুব সহজেই করতে পারবো।’

ফেরদৌস খন্দকার জানান, ঢাকায় এবং কুমিল্লায় সাধারণ রোগীদের জন্য একটি ‘আর্জেন্ট কেয়ার’ ক্লিনিক করতে চান দুই মাসের জন্য। করোনার ভয়ে বহু মানুষ হাসপাতালে যেতে ভয় পাচ্ছে। অথচ তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা খুব প্রয়োজন। এসব মানুষের জন্যই তিনি এই বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেবেন।

আর করোনার জন্য কেউ পরামর্শ চাইলে সে ব্যাপারে নিজের অভিজ্ঞতানুযায়ী সহযোগিতা করবেন বলেও জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/০৬জুন/বিইউ/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :