কুমিল্লায় যুবক হত্যার প্রতিবাদ না করতে হুমকি
কুমিল্লার কালিরবাজারে পায়ের রগ কেটে পারভেজ হোসেন (২৭) নামে এক যুবককে হত্যার পর এবার স্বজনদের বিভিন্ন কায়দায় হুমকি দিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্তরা। এতে নিহত পারভেজের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নিহতের মামা চাঁন মিয়ার অভিযোগ, পারভেজকে হত্যার পর কালিরবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেকান্দর আলী এখন তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। যেন এই হত্যাকাণ্ডের কোনো প্রতিবাদ করতে না যাই।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে আমি আর আমার এক ভাগিনা বাড়ির পাশের একটি দোকানে যাই। সেকান্দর আলীর লোকজন মোটরসাইকেলযোগে এসে আমাদের ধমকাতে শুরু করে। আমরা নাকি স্থানীয় মেম্বারকে মারার জন্য দোকানে গিয়েছি। আমরা আতঙ্কিত হয়ে বাড়িতে ফিরে আসি।
চাঁন মিয়া বলেন, ভাগিনা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমাদের মামলা না নিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। কাকে আসামি করেছেন সেটাও জানতে পারেনি। সেই কারণে আমরা আর যোগাযোগও করিনি। রবিবার মামলার বিষয়ে থানায় কথা বলবো। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামিদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত না করলে আমরা খুনিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবো।
গত বুধবার হত্যাকাণ্ডের শিকার পারভেজের পরিবার জানায়, চেয়ারম্যান সেকান্দর আলীর গ্রুপ করতেন পারভেজ। গ্রুপ থেকে সরে আসায় বিভিন্ন সময় হুমকি দিতো। সেই ক্ষোভ থেকে বুধবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যানের নির্দেশে শাহীন, সাদ্দাম, কামাল ও কাউছারের নেতৃত্বে পারভেজকে তুলে নিয়ে যায়। বুধবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পারভেজ স্থানীয় সৈয়দপুর গ্রামের আবদুল মবিনের ছেলে। পারভেজকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে পায়ের রগ কেটে দেয়। এরপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে গেলে কাউছার এবং মফিজুর রহমান ভান্ডারী পারভেজকে হাসপাতালে নেয়ার কথা বলে গাড়িতে উঠেন। হাসপাতালে যাওয়ার পথে কাউছার এবং মফিজুর পারভেজকে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল হক জানান, কালিরবাজারে যুবক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মামলায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পুলিশ ঘটনা তদন্তে মাঠে রয়েছে।
তিনি বলেন, একটি ঘটনায় দুইটি মামলা হয়ে গেছে। অতিরিক্ত মামলায় আইনের বিধান রয়েছে। থানায় ওই যুবককের পরিবার আর দেখা করেনি। এছাড়া হুমকি ও আতঙ্কের বিষয়ে খোঁজ নিবেন বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১৩জুন/কেএম)