দেশের প্রথম বাঁহাতি স্পিনার রামচাঁদ গোয়ালা আর নেই

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৯ জুন ২০২০, ১২:৩০
অ- অ+

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ও প্রথম বাঁহাতি স্পিনার রাম চাঁদ গোয়ালা আর নেই। শুক্রবার (১৯ জুন) সকালে ময়মনসিংহের নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেয় দেশের প্রথম এই বাঁহাতি স্পিনার। বার্ধ্যক্যজনিত কারণে অনেকদিন ধরেই নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। বয়সের ভারে নুহ্য বাংলাদেশের প্রথম এই বাঁহাতি স্পিনার সম্প্রতি চোখের অস্ত্রোপচারও করিয়েছিলেন।

ভাতিজা তপন কুমার গোয়ালা, দুই নাতি আকাশ ঘোষ ও অথৈ ঘোষ এবং দুই ভাতিজার স্ত্রীদের নিয়ে ময়মনসিংহের ব্রামেনপালির নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন রাম চাঁদ গোয়ালা।

গত বছর বিসিবি তাকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছিল। সেই অর্থ দিয়ে চলেছে তার দৈনন্দিন জীবন ও চিকিৎসা খরচ। জীবনের শেষ বেলায় রাম চাঁদ গোয়ালার চাওয়া ছিল, সুস্থ হলে মাঠে ঘুরতে যেতেন তিনি।

আশির দশকের একদম শুরু থেকে নব্বই দশকের মাঝামাঝি প্রায় ১৫ বছরের বেশি সময় আবাহনীতে খেলেছেন রামচাঁদ। তার মৃত্যু সংবাদটি নিশ্চিত করেন আবাহনী অন্তঃপ্রাণ ক্রিকেট সংগঠক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি।

সত্তর দশকে ঢাকাই ক্রিকেটের অনেক ম্যাচই হতো ম্যাটিং উইকেটে। নারিকেলের ছোবড়া দিয়ে তৈরি সে উইকেটে ছিল মূলত পেসারদের দাপট। দৌলতুজ্জামান, জাহাঙ্গীর শাহ বাদশাহ, দিপু রায় চৌধুরী, সাজু, জিয়াউল ইসলাম মাসুদ, সামিউর রহমান সামি, জালাল ইউনুস, অলক চক্রবর্তী, মোবারক (টোক্কা মোবারক) প্রমুখ দ্রুতগতির বোলারদের তখন একচ্ছত্র আধিপত্য।

এর ভেতরেও টাউন ক্লাবের এক লম্বা বাঁহাতি স্পিনার নিজেকে মেলে ধরেন। তার স্পিন জাদুতে অনেক বড় বড় ব্যাটসম্যানকেও বশ করে ছাড়েন। দেশের ক্রিকেটের এ নামি বাঁহাতি স্পিনার ১৯৪১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহে জন্ম নেয়া গোয়ালা।

আবাহনীতে নাম লেখানোর আগে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে টাউন ক্লাবের হয়েও খেলেছেন। সেখান থেকেই আশির দশকের একদম শুরুতে (১৯৮০-১৯৮১ তে) যোগ দেন আবাহনীতে। দেশের ক্লাব ক্রীড়াঙ্গনের জনপ্রিয় ও সুপার পাওয়ার আবাহনীর পক্ষে একটানা প্রায় ১৪-১৫ বছর খেলেন রামচাঁদ গোয়ালা।

এ সময়ে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্বও করেছেন এ বাঁহাতি স্পিনার।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও শ্রীলঙ্কা টেস্ট দলের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে খেলেন গোয়ালা। এক যুগের বেশি সময় খেলার কারণে আবাহনীর সাথে তার বন্ধন তৈরি হয়ে যায়। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর ফিরে যান নিজ শহর ময়মনসিংহে। যতদিন শরীর সুস্থ ছিল, ততদিন ক্রিকেটই ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান। নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার কাজেও ছিলেন মনোযোগী। তবে বার্ধক্য চলে আসায় গত কয়েক বছর সেভাবে আর মাঠে যাওয়া হয়নি।

(ঢাকাটাইমস/১৯ জুন/এআইএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ঢাকাসহ ৫৬ জেলার ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ, আট জেলায় তীব্র
দাবা খেলা নিষিদ্ধ করলো আফগানিস্তান
মশা মারার যন্ত্র বানিয়ে তাক লাগালেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান থিংক ল্যাবস
রাস্তা অবরোধ করে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার অনুরোধ ডিএমপির
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা