ক্রিকেটারদের সরাসরি ত্রাণকাজে অংশ না নেয়ার পরামর্শ বিসিবির

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিকেল বিভাগ মনে করে ক্রিকেটারদের জন্য একটি নির্দেশিকা প্রণয়নের এটিই সেরা সময়। তারা যেন স্ব-শরীরে ত্রাণকাজে অংশ না নেয়। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী মনে করেন, তিন ক্রিকেটার বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনায় আক্রান্ত হবার পর এখন এই নির্দেশিকা প্রণয়ন অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
শনিবার একই দিনে করোনায়া আক্রান্ত হন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার নাফিস ইকবাল, সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও বাঁ-হাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু।
২০১৮ সালে জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়া অপু ফের দলে ফেরার চেষ্টায় আছেন। মাশরাফি জাতীয় দলের নেতৃত্ব থেকে সরে গেলেও অবসর গ্রহণ করেননি। বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলায় অংশগ্রহণের ইচ্ছা এখনো আছে।
দেবাশীষ চৌধুরী রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘খেলোয়াড়দের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন ঘরেই থাকেন। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া যেন বের না হন।’
বিসিবির এই প্রধান চিকিৎসক বলেন, ‘মাশরাফির বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি শুধু খেলোয়াড় নন। একজন সম্মানিত সংসদ সদস্যও। তাই আইনপ্রণেতা হিসেবে নিজের এলাকায় তাকে ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিতে হয়। কিন্তু অন্যান্য ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে সশরীরে গিয়ে ত্রাণ বিতরণের প্রয়োজন নেই।’
মানবিক কারণে অবশ্যই করোনাকালীন সময়ে সাহায্য সহযোগিতা করা যাবে। তবে সেটা স্ব-শরীরে নয়, বলে উল্লেখ করেন ডা. দেবাশীষ।
তিনি বলেন, ‘মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মত সিনিয়র ক্রিকেটাররা মানুষকে সহায়তা করছেন। স্ব-শরীরে না গিয়ে ভিন্ন মাধ্যমে তারা এই মানবিক কাজ করছেন।’
নাজমুল ইসলাম অপু ও নাফিস ইকবাল স্ব-শরীরে ত্রাণকার্যে অংশ নিয়েছেন। ফলে জাতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক ও ওপেনার তামিম ইকবালের এই বড় ভাই সহ তার মা ও পরিবারের অন্য সদস্যরাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে অপুর বাবা-মা ও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
দেবাশীষ বলেন, ‘ক্রিকেটারদের জন্য গাইডলাইন প্রণয়নের সময় এসে গেছে। করোনাকালে কোনো ক্রিকেটারই যেন স্ব-শরীরে গিয়ে ত্রাণ না দেন। মানুষকে সহায়তা করা মানবিক কাজ। স্বাভাবিক ভাবেই ক্রিকেটাররা তা করবে। তবে এ বিষয়ে বিসিবির কোনো নির্দেশিকা নেই। এখন সেটি করতে হবে।’
তবে দেশের আশি শতাংশ কোভিড আক্রান্ত মানুষ ঘরে বসে চিকিৎসা নিয়েই ভালো হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে দেবাশীষ বলেন, এতে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। তিনি বলেন, ‘আশি ভাগ কোভিড আক্রান্ত মানুষ ঘরে চিকিৎসা নিয়েই ভাল হচ্ছে। বাকী ২০ ভাগ আশংকাজনক অবস্থায় যাচ্ছে। তাই এটিকে নিয়ে খুব বেশি আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। যেটি করতে হবে সেটি হচ্ছে ঘরে অবস্থান করা। সেই সঙ্গে সাবধানতার সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ’
(ঢাকাটাইমস/২১ জুন/এসইউএল)

মন্তব্য করুন