হতাশ হবেন না, গণতন্ত্রের সূর্য উঠবেই: নেতাকর্মীদের ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ অক্টোবর ২০২০, ১৪:৩১

হতাশ না হয়ে আশা নিয়ে কাজ করতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা কখনই হতাশার কথা বলবেন না। হতাশা দিয়ে কখনও লড়াই করা যায় না। যা করবেন আশা নিয়ে করতে হবে। সামনে সেই আশার লক্ষ্য রাখতে হবে। গণতন্ত্রের সূর্য উঠবেই।’

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এগ্রিকালচারিস্টস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

‘কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের কৃষি সেক্টরে কৌশল শীর্ষক’ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এ্যাবের আহ্বায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ. কে ফজলুল হক ভূইয়া।

সভায় আওয়ামী লীগ ও ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করেন ফখরুল। ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসনব্যবস্থায় বিশ্বাসী মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তারা ভিন্নমতকে সহ্য করতে চায় না। আমার কাছে খুব ইন্টারেস্টিং লাগে। তারা আগে বলেছে যে বিএনপি নেই। বিএনপি নাকি একেবারে নিঃশেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের সাধারণ সম্পাদকের প্রত্যেক দিন একটাই কাজ হলো বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলা।’

ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে ফখরুল বলেন, বিএনপি এত বেশি করে আছে, এত প্রবলভাবে আছে যে আপনি প্রত্যেক দিন বিএনপিকে নিয়েই কথা বলেন।

চতুর্দিকে দুর্নীতিতে ভরে গেছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘একটা কথাও সত্য বলে না। সরকার যে ভাষ্য দেয়, তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। চতুর্দিকে দেখি যে সবাই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। আমার ভাই, চাচা-খালা-বোন সবাই আক্রান্ত হয়েছে। খবর নিয়ে দেখবেন খুব কম পরিবার আছে যাদের কেউ না কেউ আক্রান্ত হয়নি। ঢাকা উত্তরের মেয়রের পরিবারের ১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেলাগুলোতে এখন কোনো টেস্ট হয় না। ওই যে ট্রাম্প বলেছে, ‘নো টেস্ট নো করোনা’।

জনগণের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্য যে আজকে ভারত স্বীকার করে যে তাদের প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ কমে গেছে, অথচ এরা বলে প্রবৃদ্ধি ১০ ভাগ বেড়ে গেছে। একবার ভাবুন, একটা সরকার কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে জনগণের সাথে মিথ্যা কথা বলে। এর একমাত্র কারণ জনগণের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এই সরকার সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন, সে কারণে জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ব নেই।

‘আজকে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশনে জিডিপির ১৮ শতাংশ আর কৃষি ক্ষেত্রে ১.৮ শতাংশ। কেন? কারণ হলো জনগণের প্রতি যদি স্টিম রোলার চালাতে হয়, তাহলে তাদের এই পাবিলক এডমিনিস্ট্রেশন বাড়াতে হবে। তাদের খুশি রাখতে হবে। সবাইকে একটার পর একটা প্রণোদনা দিতে হবে। গাড়ি দিতে হবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিশেষ বাহিনীর লোকদের গাড়ি কেনার জন্য ৩০ লাখ করে টাকা দিয়েছে। এখন উপ-সচিব পর্যন্ত গাড়ি কেনার টাকা পায়। সেই গাড়ি মেইনটেনেন্সের জন্য মাসে ৫০ হাজার টাকা পাবে। আর আমার কৃষক ভাই খাবার পাবে না। ভ্যান চালক খাবার পাবে না)।-যোগ করেন ফখরুল।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, এ্যাব নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ইবরাহিম খলিল, গোলাম হাফিজ কেনেডি প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/৩০অক্টোবর/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

দেশের জনগণ আজ ভয়াবহ পরিস্থিতি অতিক্রম করছে: রিজভী

উপজেলা নির্বাচন ঘিরে বিএনপি-আ.লীগে অস্বস্তি, মাঠপর্যায়ে কেন উপেক্ষিত দলীয় সিদ্ধান্ত

প্রয়াত নেতা পিন্টুর কবর জিয়ারতে বিএনপি নেতারা

ট্রেনভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চেয়ে কমলাপুরে সিপিবির বিক্ষোভ

জনগণের কাছে হেরে যাওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিন: ফারুক

দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে মীরজাফর হিসেবে চিনবে: রিজভী

শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষুর কাছে গণমাধ্যম বারবার আত্মসমর্পন করেছে: বাংলাদেশ ন্যাপ

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার

কে এই মামুনুল হক? যেভাবে পান ব্যাপক পরিচিতি

হেফাজতের সাবেক নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :