নদী খনন বন্ধে যমুনা চরাঞ্চলের কৃষকদের হুঁশিয়ারি

কৃষকদের হাজার হাজার একর আবাদি ও ফসলি জমি কেটে নদী খনন এবং শাসন কাজের কর্মযজ্ঞ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক পরিবার।
বুধবার দুপুরে উপজেলার রেহাইগাবসারা চরাঞ্চলের ড্রেজিং এলাকায় এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়। এতে অংশ নেয় চরাঞ্চলের ছাত্র, যুবক, কৃষকসহ নানা শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ। এ সময় ফসলি জমি রক্ষায় ও অপরিকল্পিত নদী খনন এবং শাসন কাজের প্রতিবাদ জানান চরাঞ্চলবাসীরা।
‘যমুনা ড্রেজিং হলে, জ্বলবে আগুন চরাঞ্চলে’, ‘রক্ষা করো রক্ষা করো, বাপ দাদার পৈত্তিক সম্পত্তি রক্ষা করো’; অবৈধ ড্রেজিং বন্ধ করো করতে হবে; বাপ দাদার পৈত্তিক সম্পতি খনন করতে দেয়া হবে না হবে না,- সভায় এসব স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা এবং শিক্ষার্থীরা হাতে লেখা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে প্রতিবাদ জানায়।
সভায় বক্তব্য দেন চরাঞ্চলের গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান, সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন তালুকদার জিন্নাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক মিঞা, আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদুল ইসলাম শাপলা। এছাড়াও স্থানীয় আব্দুস ছালাম, ফজলু মুন্সী, আমীর আকন্দ প্রমুখসহ অন্যরাও বক্তব্য দেন।
সভায় বক্তারা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে নদী ড্রেজিং করা হচ্ছে। এতে হাজার হাজার কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যমুনা নদী খননের জন্য ফসলি জমির উপর লাল নিশান লাগিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে আমাদের চরাঞ্চলের কৃষদের বুকের ওপর দিয়ে খনন করার পাঁয়তারায় মেতে উঠেছে অসাধু বালু ব্যবসায়ী দালালরা। যার ফলে হাজার হাজার একর পৈত্তিক আবাদি ও ফসলি জমি এবং বসতভিটা নদীগর্ভে হারিয়ে পথে বসে যাবে চরাঞ্চলের অসহায় কৃষকরা।
এছাড়া নদী পাড়ের ফসলি জমিও ভাঙনের কবলে পড়বে। এভাবে অপরিকল্পিত ড্রেজিং করলে চরাঞ্চলের মানুষ বসবাস করতে পারবে না। তাই ফসলি জমি রক্ষায় অপরিকল্পিত নদীতে ড্রেজিং বন্ধ করতে হবে।
ড্রেজিং বন্ধ করা না হলে আর কোনো কর্মসূচি নয়, সরাসরি ড্রেজিং মেশিন পুড়িয়ে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
(ঢাকাটাইমস/৯ডিসেম্বর/কেএম)

মন্তব্য করুন