এখন গবেষণামূলক কাজ করার সুযোগ নেই

মাসুদ হাসান উজ্জ্বল
 | প্রকাশিত : ০৬ জানুয়ারি ২০২১, ১৩:৫৯

ক্যারিয়ারের শুরুতে সাধারণত নিজের মতো করে গল্প বলতে চাওয়াটা কঠিন হয়ে ওঠে, কিন্তু আমরা যেই সময়টাতে টেলিভিশনের জন্য কাজ শুরু করেছিলাম, তখন বিনা বাধায় সেটা করতে পেরেছিলাম। অনেক ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগ পেয়েছি তখন। কখনো কখনো দর্শক একটা এক্সপেরিমেন্ট কাজ গ্রহণ না করলেও একই চ্যানেল সানন্দে পরের এক্সপেরিমেন্টটা করতে দিয়েছে।

এর কারণ নিয়ে গভীরভাবে ভাবলাম কিছুক্ষণ। প্রধান কারণ-তখন যেই ধরনের দর্শক মতামত প্রযোজক বা চ্যানেলের কান পর্যন্ত পৌঁছতো তারা টাকা দিয়ে কেনা ছাপার অক্ষরের দৈনিক পত্রিকা আর বই পড়া দর্শক। এই দর্শক সেনসিটিভ এবং সেন্সেবল দর্শক ছিল।

এখন প্রায়ই শুনি ইউটিউব আর ওটিটির কল্যাণে এখনকার দর্শক অনেক স্মার্ট ! এটা সম্ভবত সর্বাংশে সঠিক নয়। বরং যখন এইসব ওটিটি, ইউটিউব ছিল না তখন মফস্বলের যেই ছেলেটা বা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের যেই মেয়েটা অনেক কষ্টে ভিএইচএস ক্যাসেট জোগাড় করে পথের পাঁচালি দেখেছে, পাবলিক লাইব্রেরি বা গ্যাটে ইনস্টিটিউট গিয়ে ‘বাইসাইকেল থিফ’, ‘মিরর’, বা ‘নস্টালজিয়া’ দেখেছে, তারা মানসিকভাবে অনেক বেশি অগ্রসর ছিল , দে ওয়ার ডিফ্রেন্ট দেন আদার্স।

নিউজ ফিডে ক্রমাগত ঘুরতে থাকা অজস্র কন্টেন্ট আপনার দৃষ্টিতে এক ধরনের ইমপ্রেশন দেয় বটে, তবে নিশ্চিতভাবে সেটি গভীর কোনো জ্ঞান নয় ।

তথ্যের অবাধ প্রবাহের কারণে আপনি সব জেনে বসে আছেন-বিষয়টি কিন্তু তেমন নয়, আপনার প্রকৃত কৌতূহল থেকে বেশ আয়োজন করে যে বিষয়টি জেনেছেন সেই বিষয়ে আপনি কথা বলার যোগ্যতা রাখলেও রাখতে পারেন ।

ফেসবুক পোস্ট লেখার জন্য ইউটিউব আর উইকিপিডিয়া ঘেঁটে জানা জ্ঞান থেকে সর্ব বিষয়ে রায় দেওয়ার এই প্রবণতা নতুন শিল্প সৃষ্টির পথে সব থেকে বড় অন্তরায়। এখন কোনো ব্রিলিয়ান্ট আইডিয়া নিয়ে কাজ করার সুযোগই দেখি না। আপনার আইডিয়া যে ব্রিলিয়ান্ট সেটা বোঝার লোক তো লাগবে! এখন দর্শক চলে হুতাশে আর প্রযোজক চলে সেই হুতাশের ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগারে! বড় জঘন্য সময় এটা !

লেখক: চলচ্চিত্র নির্মাতা

ঢাকাটাইমস/৬জানুয়ারি/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :