‘দেশের রিটার্ন ইনভেস্টমেন্টের ভালো অবস্থা তুলে ধরতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:৫২

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি ও বিনিয়োগ নেতিবাচক অবস্থায় থাকলেও এক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্রুত পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটিয়ে রিটার্ন ইনভেসস্টমেন্টে ভালো করেছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে হতে চলা প্রথম রোড শো উপলক্ষে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন─বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম একথা বলেন।

তার ভাষ্য, করোনা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দেশে ইকোনোমি ও ইনভেস্টমেন্ট বা রিটার্ন ইনভেস্টমেন্ট নেগেটিভ হয়েছে। তবে বাংলাদেশ বেশ তাড়াতাড়িই এটাকে রিকভার করে আবার গ্রোথ স্টেজে পৌঁছেছে।

মাহবুবুল আলম বলেন, ‘এ গ্রোথ ধরে রাখতে এখন বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং প্রবাসীদের সামনে দেশের ক্যাপিটাল মার্কেট তুলে ধরতে হবে। এজন্য বিদেশে নিয়মিত রোড শো করা হবে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে; ক্যাপিটাল মার্কেটের ডেভেলপমেন্ট হবে।’

ঢাকার আগারগাঁওয়ে বিএসইসি কার্যালয়ের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রোবায়েতুল ইসলাম।

৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চারদিনের এ রোড শোতে প্রবাসী বিনিয়োগকারী, বিদেশি বিনিয়োগকারী, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বিনিয়োগকারীদের ছোট দলের সঙ্গে সম্মেলন করবে বিএসইসি। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা, বিনিয়োগে সুযোগ-সুবিধার সহজলভ্যতাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হবে।

বাংলাদেশের ইকোনোমিক গ্রোথ এখন খুবই ভালো উল্লেখ করে মাহবুবুল আলম বলেন, ‘তবে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট পিছিয়ে আছে। বিভিন্ন দেশের ইকোনোমিক গ্রোথের সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপ করে এবং এখান থেকে মূলত লংটার্ম ফাইন্যান্সিং হয়ে থাকে।’

দেশের অর্থনীতিতে অন্য খাতগুলো যেভাবে উন্নতি করেছে সেইভাবে ক্যাপিটাল মার্কেটের কন্ট্রিবিউশনটা বাড়াতে চান জানিয়ে মাহবুবুল আলম বলেন, করোনার মধ্যেও সম্প্রতি আমাদের রেমিটেন্স বেড়েছে...আমাদের রিটার্ন ইনভেস্টমেন্ট অনেক ভালো। কাজেই ফরেন ইনভেস্টররা এখন বাংলাদেশের প্রতি ইন্টারেস্টেড।’

দেশে মেগাপ্রকল্পগুলো ঘিরে ব্যাপক কাজ চলছে মন্তব্য করে বিসইসির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘এই ইনফ্রাসক্ট্রাকচার প্রজেক্ট এবং বিভিন্ন লংটার্ম প্রজেক্ট যেগুলো আছে, সেগুলোতে ফাইন্যান্সিংয়ের জন্য মূলত ঋণ থেকে এই ব্যয় নির্বাহ করা হয়।’

‘কিন্তু এভাবে বেশিদিন চলতে পারে না। পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টর ডেভেলপ করছে ঋণ দিয়ে। সেটা কিন্তু ব্যাংকিং সেক্টর আর সাপ্লাই দিতে পারছে না। ব্যাংকিং সেক্টর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে’─যোগ করেন তিনি।

দেশের ক্যাপিটাল মার্কেটে নতুন নতুন প্রোডাক্ট আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে বন্ড মার্কেট ডেভলপমেন্টের জন্য কাজ চলছে। সুকুকসহ অন্যান্য প্রোডাক্ট নিয়েও কাজ করছে। লংটার্ম ইনভেস্টমেন্টের জন্য আমাদের এই প্রোডাক্টগুলো দরকার। এই প্রোডাক্টগুলোতে ইনভেস্টমেন্ট করার জন্য যে সুযোগ আছে, আমরা সেই সব তুলে ধরব বিদেশি এবং এনআরবিদের কাছে। আমরা আশা করছি এই রোড শো’র মাধ্যমে আমাদের বিদেশি বিনিয়োগ অনেক বাড়বে এবং ক্যাপিটাল মার্কেটের ডেভলমেন্ট হবে।

(ঢাকাটাইমস/০২ফেব্রুয়ারি/ইএস/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :