‘চাঁদাবাজি আর খাজনার কারণে গরু মাংসের দাম বেশি’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২১, ১০:৫৯ | প্রকাশিত : ১৪ মার্চ ২০২১, ১৭:৫৮

বাজারে গরু মাংসের দাম কমাতে না পারার কারণ হিসেবে ‘চাঁদাবাজি’ আর হাটের খাজনাকে দায় দিতে চান দেশের মাংস ব্যবসায়ীরা। এই দুটি বিষয় মীমাংসা করা না গেলে ক্রেতাদের তিনশ টাকা কেজিতে মাংস খাওয়ানো যাবে না বলেও ভাষ্য তাদের।

এক আলোচনা সভায় এমনটাই দাবি করেছেন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম। ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি রবিবার ঢাকার সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটে আলোচনা সভাটির আয়োজন করে।

রবিউল আলম বলেন, ‘গরুর হাটের খাজনা সহজ করতে হবে এবং মাস্তান মুক্ত করতে হবে। কারণ, কৃষক শতকরা ৫ টাকা খাজনা দিয়ে পশুপালন উন্নয়ন করতে পারবে না। মাংস ব্যবসায়ীরাও ৩০০ টাকা কেজিতে মাংস খাওয়াতে পারবে না। সেই সঙ্গে মহিষের মাংস বাংলাদেশে পাচার বন্ধ করতে হবে।’

পাশ্ববর্তী দেশ ভারত মাংস ও পশু পাচার করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে দাবি করে রবিউল আলম বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা ও ভোক্তা অধিকারের জন্য রমজানে কি মাংসের মূল্য নির্ধারিত হবে? নাকি ভারতীয় মাফিয়া ও দেশীয় মাস্তান এবং চাঁদাবাজদের জন্য মাংসের বাজার উন্মুক্ত থাকবে? আমাদের চর ও বনাঞ্চলে ২০ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণের মাধ্যমে পশুপালনে স্বনির্ভরতা আনা সম্ভব। এর ফলে এক লাখ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।’

মাংস ব্যবসায়ীরাও দেশের নাগরিক মন্তব্য করে মাংস ব্যবসায়ীদের এ নেতা বলেন, ‘আপনারা কি জানেন, নিরাপদ খাদ্যের নামে আমরা কি খাচ্ছি ও খাওয়াচ্ছি। আমাদের দেওয়া মাংস জীবাণুমুক্ত কি-না তাও অনেকে জানেন না।

‘খাদ্যকে নিরাপদ ও জীবাণুমুক্ত করার দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার। তারা কি দায়িত্ব পালন করছে? নিরাপদ খাদ্যের জন্য জীবাণুমুক্ত জবাইখানা এবং ভেটেনারি সার্ভিসের প্রয়োজন। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন বা স্থানীয় সরকারের জীবাণুমুক্ত মাংস নির্ধারণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাজারে মাংস কিনতে গেলে তাতে আমরা অনেকেই হাত দিই। কিন্তু আমাদের হাতে অনেক ধরণের জীবাণু থাকে। আর এভাবে হাতের জীবাণুগুলো মাংসে চলে যায়। জীবাণুযুক্ত এসব মাংস আবার আমরা বাজার থেকে কিনে আনছি। পরবর্তীতে সেই মাংস খেয়ে অসুস্থ হচ্ছি। দেশে যদি নিরাপদ জবাইখানা বা জীবাণুমুক্ত মাংস কাটার ব্যবস্থা থাকত, তাহলে মাংস খেয়ে মানুষ অসুস্থ কম হতো।’

ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, আমরা তিনবছর ধরে মাংসের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সফল হয়েছি। খামারিরা এখন স্বপ্ন দেখতেছে, অচিরেই আমরা আমাদের দেশের মাংস রপ্তানি করতে সফল হবো। অনেক সময় প্রশ্ন ওঠে ভারত থেকে আমদানি করা হিমায়িত মহিষের মাংস হারাম না হালাল? আমি সন্দেহ পোষণ করছি- হালাল পণ্য রপ্তানিতে সার্টিফিকেট লাগে। কিন্তু সেটা তাদের কাছে নেই। আমাদের দেশে উৎপাদিত গরুর মাংসের দাম বেশি হওয়ার আরেকটি কারণ চামড়া বিক্রি করে সঠিক মূল্য না পাওয়া।

বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশন মূল্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর আলমগীর জামান চৌধুরী, জাতিসংঘ প্রকল্প বিশেষজ্ঞ ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের ড. কুলসুম বেগম চৌধুরী, নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার আন্দোলন বাংলাদেশের কামরুজ্জামান বাবলু, আকলিমা চৌধুরী আখিসহ প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/আরকে/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

হাসিনা-থাভিসিন দ্বিপাক্ষীক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা স্বেচ্ছাচারিতামূলক: টিআইবি

রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

একযোগে আট বিভাগে সম্পন্ন হলো ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা

৭৬ বছরের রেকর্ড ভাঙছে তাপপ্রবাহ

তাপপ্রবাহে রেলের কর্মীদের জন্য ৫ নির্দেশনা

মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষার বিকল্প নেই: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

তাপমাত্রার মতোই বেড়েছে সবজি ও মাছ-মাংসের দাম

১৬ জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ, দুই জেলায় অতি তীব্র

বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :