ফেনীতে আউশ আবাদের লক্ষ্য অর্জন নিয়ে শঙ্কা

এম শরীফ ভূঞা, ফেনী
 | প্রকাশিত : ০৫ জুন ২০২১, ১৫:৫৫

ফেনীতে আউশ আবাদের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরকারি প্রণোদনা দেয়া হলেও অক্টোবরের পর থেকে গত সাত মাস ধরে বৃষ্টিপাত না থাকায় রৌদ্রের খরতাপে ফসলি জমি ফেটে এবার লক্ষ্যমাত্রার শুধুমাত্র ২২ শতাংশ জমি আবাদ হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, আউশ আবাদের সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। জুন মাস পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হলেও এ পর্যন্ত জেলায় দুই হাজার ৫৫১ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। অথচ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৪৫১ হেক্টর। এর মধ্যে সোনাগাজী উপজেলায় নয় হাজার ৬০০ হেক্টর, সদর উপজেলায় ৮০০ হেক্টর, ছাগলনাইয়ায় ২৭০ হেক্টর, ফুলগাজীতে ১২০ হেক্টর, পরশুরামে ৯০ হেক্টর ও দাগনভূঞায় ৫৭১ হেক্টর রয়েছে।

সূত্র আরো জানায়, গত বছর ১২ হাজার ৯৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ১০ হাজার ৪১০ হেক্টর আবাদ হয়েছিল। এর মধ্যে সদর উপজেলায় এক হাজার ১১০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রায় ৭২৫ হেক্টর, ছাগলনাইয়ায় দুই হাজার ৮৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার ২৪৫ হেক্টর, ফুলগাজীতে ১১০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ, দাগনভূঞায় ৫৯০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার ৫১০ হেক্টর এবং সোনাগাজীতে নয় হাজার ৯২০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার আট হাজার ৭০০ হেক্টর আবাদ হয়েছিল।

জেলা কৃষি সম্প্রসার অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় সাত হাজার ২০০ জন কৃষককে প্রণোদনা দেয়া হয়। প্রতি বিঘায় কৃষকপ্রতি দেয়া হয় বীজ পাঁচ কেজি, জিওপি সার ২০ কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি। সদর উপজেলায় এক হাজার ৫০০, ছাগলনাইয়ায় ৭০০, ফুলগাজীতে ৫০০, পরশুরামে ৫০০, দাগনভূঞায় এক হাজার, সোনাগাজীতে তিন হাজার কৃষক প্রণোদনা পেয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নে আজিজুল হক নামে এক কৃষক আউশ আবাদ করতে বীজতলা তৈরি করেছেন। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় রৌদে পুড়ে বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। গতবারও তিনি ৬০ শতাংশ জমিতে আউশ আবাদ করেছিলেন। সেই সময় একই ইউনিয়নের আরেক কৃষক সুভাষ চন্দ্র সূত্রধর ২৫০ থেকে ৩০০ শতক জমিতে আমন আবাদ করেছিলেন। এবার বৃষ্টি ও খালে পানি না থাকায় ড্রিপের পানি দিয়ে মাত্র ৮০ শতাংশ জমিতে আউশ আবাদ করেন তিনি।

ধলিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা ইয়াছমিন জানান, তার ইউনিয়নে আউশ আবাদ করতে ৩৩০ জন কৃষককে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে কৃষক তুলনামূলক কম আবাদ করতে পেরেছেন। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় এর পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, এবার বৃষ্টি না হওয়ায় আউশের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় যাদের বীজতলা নষ্ট হয়নি সেসব কৃষক জুনের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত আউশের আবাদ করতে পারবেন।

(ঢাকাটাইমস/৫জুন/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

রিভিউয়ের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসা হবে: সিসিক মেয়র

এসএসসির ফলাফলে গোপালগঞ্জ জেলায় তৃতীয় রাবেয়া-আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ

নড়াইলে বজ্রপাতে স্কুলছাত্র ও গাভীর মৃত্যু

টানা দ্বিতীয়বার ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন মিরাজুল ইসলাম

সালথায় ১২ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদককারবারি গ্রেপ্তার

সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সিরাজদিখান রিপোর্টার্স ইউনিটির মানববন্ধন 

সোনারগাঁয়ে দুই কোটি টাকার ইয়াবাসহ কারবারি গ্রেপ্তার

এসএসসিতে যশোর বোর্ডে সেরা সাতক্ষীরা

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :