সাত বছরেও চালু হয়নি ১২ কোটি টাকার গোপালগঞ্জ ট্রমা সেন্টার

শেখ মোস্তফা জামান, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ জুন ২০২১, ১৭:০৭

গোপালগঞ্জে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি ‘ট্রমা সেন্টার ভবন’ নিয়ে চলছে ঠেলাঠেলি। দীর্ঘ সাত বছর ধরে স্থানীয় গণপূর্ত ও স্বাস্থ্য বিভাগের মধ্যে এ ঠেলাঠেলির কারণে ভবনটির ভাগ্য এখন অনিশ্চিত-অন্ধকারে নিমজ্জিত। বিষয়টি নিয়ে জনসাধারণসহ সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ, হতাশা।

এ অবস্থায় একদিকে অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে সরকারি সম্পদ। অন্যদিকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দুর্ঘটনায় আহত স্থানীয় জনগণ। জনবল নিয়োগের পরে ট্রমা সেন্টারটির সেবা কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন।

সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসকেড় পাশে ট্রমা সেন্টার নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে চারতলা বিশিষ্ট ট্রমা সেন্টার ভবনের কাজ শুরু হয়। ১১কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যায়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ভবনের নির্মান কাজ সম্পন্ন হলেও আংশিক কাজ এখনো বাকি রয়েছে। কবে নাগাদ নির্মিতব্য ট্রমা সেন্টারের সেবা কার্যক্রম চালু হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।

এখন অযত্ন-অবহেলায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে নির্মিত ভবনের বিভিন্ন অংশ ও আসবাবপত্র। ঘাষ আর লতাপাতায় ঘিরে রেখেছে ট্রমা সেন্টারটিকে। ভেতরে বসবাস করছে গবাদিপশু। সেখানে এখন যোগ হয়েছে মাদকসেবীদের আড্ডা। নষ্ট হচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পদ। সড়কে দুর্ঘটনায় হাড় ভাঙা রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা থেকে। এ অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

স্থানীয়রা জানান, গোপালগঞ্জে ট্রমা সেন্টারে সেবা কার্যক্রম চালু না হওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে ঢাকা অথবা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ট্রমা সেন্টারটি চালু হলে আমরা সহজেই উন্নত চিকিৎসা নিতে পারতাম। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের অবহেলায় আমরা সেটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস বলেছেন, ১১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যায়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ট্রমা সেন্টার ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ভবনটি স্বাস্থ্য বিভাগকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেছেন, ট্রমা সেন্টারের ভবনের কাজ সম্পন্ন হলেও আংশিক কাজ এখনো বাকি রয়েছে। জনবল সংকটের কারণে এটি চালু করা যাচ্ছে না। জনবল নিয়োগের পরে গোপালগঞ্জের ট্রমা সেন্টারটির সেবাকার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৯জুন/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :