ফ্যাশনে ব্যান্ডানা

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২১, ১৬:৫১ | প্রকাশিত : ০৬ জুলাই ২০২১, ১৬:৩৭

ফ্যাশন সচেতন এবং বাচ্চাদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় দৃষ্টিনন্দন স্টাইল ব্যান্ডানা। আমেরিকা-ইউরোপ কাঁপিয়ে ব্যান্ডানার ফ্যাশন এখন এশিয়া মহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

রঙিন ফেব্রিকের ব্যান্ডানাগুলো ত্রিভুজাকার বা বর্গক্ষেত্র হয় তবে এগুলো আয়তক্ষেত্রাকারও হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যান্ডানা পড়ানা হয়। মাথায়,কপালে, গলায়, হাত পায় বেঁধে দেওয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যান্ডানা মাথায় পরে থাকে। রুক্ষ, অগোছালো চুল ঢেকে রাখতে ব্যান্ডানার আবরণের বিকল্প নেই। ফ্যাশনও হল, আবার চুলের সমস্যাও এড়ানো গেল।

বিভিন্ন ধরনের টুপিগুলো মধ্যে একটি সবচেয়ে আড়ম্বরপূর্ণ, সাধারণ এবং সর্বজনীন একটি সাধারণ ব্যান্ডানা।

আপনি এটি বিভিন্ন উপায়ে বেঁধে রাখতে পারেন এবং বিভিন্ন টেক্সচার এবং কাপড়ের রঙগুলো কোনও পার্টির জন্য বা ক্রীড়া ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত করে তুলতে পারে।

‘ব্যান্ডানা’ স্টাইল গরমকালে চুল খুলে রাখলেই গরম লাগে। এক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল রঙের বা প্রিন্টের স্কার্ফ খোলা চুলের উপরেই মাথায় বেঁধে নিতে পারেন হেয়ারব্যান্ডের মতো করে। এক টুকরো কাপড়। তাতেই পাল্টে যাবে মুখের শোভা। চুলের স্টাইলও। আর তারই নাম ব্যান্ডানা।

মাথায় ব্যান্ডানা বেঁধে স্টাইলিশ সাজে সাজলে ঢেকে যেতে পারে চুলের খুঁত। কেবল মাত্র একটুকরো কাপড় দিয়ে মাথা ঢাকলেই বদলে যাবে আপনার লুক।

নায়ক-নায়িকা থেকে শুরু করে সকলেই ব্যবহার করতে ভালবাসেন এই কোমল শিরস্ত্রাণ, যা কিনা তৈরি হতে পারে সিল্ক, লিনেন, সুতির স্কার্ফ দিয়ে।

গরমে রোদের তাপ এড়াতে কিংবা শীতে মাথা ঢাকতে ব্যান্ডানার ব্যবহারের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে আধুনিক ফ্যাশন। রক ব্যান্ডের দলের গায়ক-মিউজিশিয়ানেরা হামেশাই পরে থাকেন ব্যান্ডানা।

ইউরোপে রেনেসাঁর সময় রুমালের ফাঁস দিয়ে অথবা স্কার্ফে গিঁট দিয়ে তৈরি ব্যান্ডানা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। জলদস্যুদের মাথায় তাদের পেশার স্বাক্ষর বহন করেছে দীর্ঘদিন ব্যান্ডানা। আস্তে আস্তে হলিউডের ছবিতে জায়গা করে নিয়েছে মাথা ঢাকা এই ফ্যাশন।

যে পোশাকের সঙ্গেই ব্যান্ডানা ব্যবহার করা হোক তা ফ্যাশনেবলদের ভেতরকার স্টাইলবোধকেই বের করে আনে। কেবল এক চিলতে স্কার্ফের বাঁধনে চেহারা হয়ে ওঠে আর দশজনের থেকে আলাদা।

ফ্যাশন ডিজাইনাদের মতে, গ্রীষ্মপ্রধান দেশে ব্যান্ডেনা যেমন রোদ থেকে মাথাকে বাঁচায় তেমন স্টাইলও হয়। ষাটের দশকে ব্যান্ডানা খুব চলত। সেটাই আবার ফিরে এসেছে ২০১৫-তে নতুন করে।

অনেকে ব্যান্ডের শুরুর দিকে মাথায় বাঁধতেন কখনও লাল ফেট্টি কখনও বা ব্যান্ডানা। সেই সময় চুলটা বড় ছিল। অনুষ্ঠান করার সময় চুলের ভার যাতে সামাল দেওয়া যায় সেইজন্যই অনেকে ব্যান্ডানা পড়তো।

ওয়েস্টার্ন ক্যাজুয়াল ওয়্যারের সঙ্গেই ব্যান্ডানা মানায় ভাল। কিন্তু এই ধারণা এখন তামাদি। ইচ্ছে করলে শাড়ির সাজেও যে ব্যান্ডানা পরা যায় তা তো কবেই প্রমাণ করেছেন বিবি রাসেল। তিনিই প্রমাণ করেছেন গামছা দিয়েও তৈরি হতে পারে ব্যান্ডানা। দেশি কায়দায় আপনিও ইচ্ছে করলে গামছার ব্যান্ডানা পরতে পারেন।

আপনার মাথায় ব্যান্ডানা বেঁধে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো একটি বর্গাকার স্কার্ফ নিন এবং এটি তির্যকভাবে ভাঁজ করুন। তারপরে ত্রিভুজ দিয়ে মাথাটি ঢেকে রাখুন এবং কপালে বেসটি ধরে রাখুন, ত্রিভুজের দুটি পাশের কোণটি মাথার পিছনে বেঁধে, গিঁটের নীচে ত্রিভুজের শীর্ষটি টাক করুন। মাথার উপরে ব্যান্ডানা আরও ভালভাবে বসার জন্য, গিঁট বেঁধে যাওয়ার আগে একটি ছোট ফিতে দিয়ে ত্রিভুজের গোড়ায় বাঁধুন।

এছাড়া হার্ড ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরি একটি ব্যান্ডানা বা আয়তক্ষেত্রাকার আকৃতির একটি ব্যান্ডানা যদি বাঁধতে, তবে এটি কোনও ভাঁজ ছাড়াই আপনার মাথায় একটি স্কার্ফ রাখুন। ব্যান্ডানার এক পাশ কপালে ধরে রাখুন এবং এর নিকটতম প্রান্তটি মাথার পিছনে এক সাথে বেঁধে রাখুন যাতে বাকি মুক্ত প্রান্তটি গিঁটের নি‌চে থাকে।

(ঢাকাটাইমস/৬জুলাই/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :