দোকান বন্ধ করতে বলায় গ্রাম পুলিশকে সাংবাদিকের মারধর!

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় দুই গ্রাম পুলিশকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এমদাদুল ইসলাম ভুট্টু নামে স্থানীয় এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে দীপেন চন্দ্র ও সাহাদেব নামে দুই গ্রাম পুলিশ সদস্য এ অভিযোগ করেন।

এর আগে বিকালে এমদাদুল ইসলাম সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের পুরাতন গড়েয়া বাজারে তাদের পথরোধ করে মারধর করে বলে জানান তারা।

মারধরের শিকার দুই পুলিশ সদস্য হলেন- গড়েয়া ইউনিয়নের আরাজি মাটিগাড়া গ্রামের প্রধান চন্দ্র রায়ের ছেলে দীপেন চন্দ্র রায় ও একই গ্রামের শাহাদেব।

অভিযুক্ত এমদাদুল হক জিটিভি প্রতিনিধি ও জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি।

গ্রাম পুলিশ দীপেন চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, সারাদেশের মতো ঠাকুরগাঁওয়েও কঠোর লকডাউন চলছে। সে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে প্রশাসনের পাশাপাশি আমরাও কাজ করে যাচ্ছি। শনিবার বিকালে সরকারের নির্দেশ উপেক্ষা করে পুরাতন গড়েয়া হাটে স্থানীয় ব্যবসায়ী দুলু মিয়া তার দোকান খোলা রাখায় আমরা তাকে দোকান বন্ধ করতে বললে সে উল্টো আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এক পর্যায়ে সে তার নিজের দোকান ভাঙচুর শুরু করে।

তিনি আরো বলেন, এরপর সেখান থেকে চলে আসার পর আমরা গড়েয়া ইউনিয়নের দেউনিয়া বাজারে যাই। সেখান থেকে ফেরার পথে পুরাতন গড়েয়া বাজারে দুলুর ভাই সাংবাদিক এমদাদুল ইসলাম ভুট্টুসহ বেশ কয়েকজন আমাদের পথরোধ করে আমাকে মারধর করে। এসময় আমার সহকর্মী শাহাদেব আমাকে বাঁচাতে এলে তাকেও তারা মারধর করে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।

এদিকে মারধরের ঘটনাটিকে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা উল্লেখ করেছেন সাংবাদিক এমদাদুল ইসলাম ভুট্টু।

গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল শাহ রোদো শাহ বলেন, দুই গ্রাম পুলিশকে এভাবে মারধর ঠিক হয়নি। কারণ তারা সরকারি কাজ করছিলেন। তাদের আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/পিএল)