সম্পদ ও আয় কমছে ম্যাকসন স্পিনিংয়ের, দর বাড়ছে আকাশচুম্বী

রহমান আজিজ, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৬ আগস্ট ২০২১, ২২:১৬
অ- অ+

২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ম্যাকসন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের সম্পদ ও আয় প্রতি বছর কমছে। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে উল্লেখযোগ্য হারে কমছে মুনাফা। ২০২০ সালের জুন শেষে কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা। গত প্রান্তিকেও শেয়ার প্রতি আয় আশানুযায়ী নয়। তবু কোম্পানিটির শেয়ার দর বাড়ছে আকাশচুম্বী।

ডিএসই সূত্র জানা গেছে, লোকসানে থাকা ম্যাকসন স্পিনিং এর শেয়ার দর ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি ছিল ৪.১০ টাকা। চলতি বছরের ১৬ আগস্ট শেষে দর বেড়ে দাঁড়ায় ২৩.২ টাকা। অর্থাৎ প্রায় দেড় বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৯.১ টাকা বা ৪৬৫.৮৫ শতাংশ বেড়েছে।

অপরদিকে, গত চার মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১৫.৪ টাকা বা ১৯৭.৪৩ শতাংশ। গত ৪ এপ্রিল ম্যাকসনের শেয়ার দর ছিল ৭.৮ টাকা।

কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ম্যাকসন স্পিনিং মিলস লিমিটেড ২০১২, ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৭ ও ২০১৮ সালে বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ বোনাস ল্যভাংশ দিয়েছে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে কোন লভ্যাংশ না দিলেও ২০১৯ ও ২০২০ সালে মাত্র ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়ে বি ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে।

কোম্পানিটির মুনাফাও ক্রমাগত কমছে। ২০১৮ সালের জুন শেষে ম্যাকসনের মুনাফা ছিল ১১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এটি ২০১৯ সালে কমে দাঁড়ায় ২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুন শেষে কোম্পানিটির লোকসান করে ৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

মুফিজুল ইসলাম নামে এক বিনিয়োগকারী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ভালো ব্যবসা করতে না পেরে লোকসানে থাকা ম্যাকসন স্পিনিং এর শেয়ার দর মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে হু হু করে বাড়ছে। গত কয়েক বছর লভ্যাংশও ভালো দিতে পারছে না। তারপর এমন দর বাড়ায় পেছনে কারসাজি রয়েছে বলে আমার ধারণা।’

প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আরও দেখা গেছে, ম্যাকসন স্পিনিংয়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) প্রতি বছর কমতির দিকে। ২০১৭-১৮ তে কোম্পানিটির ইপএস ছিল ০.৪৯ টাকা, ২০১৮-১৯ শেষে কমে ০.১২ টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ০.৩৭ টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস দেখানো হয়েছে ০.৬৪ টাকা।

ম্যাকসন স্পিনিংয়ে শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) প্রতি বছরই কমছে। ২০১৭ সালের জুন শেষে এনএভি ছিল ১৯.৫৫ টাকা, ২০১৮ সালের জুনে কমে ১৯.১০ টাকা, ২০১৯ সালের জুন শেষে ১৮.৭২ টাকা এবং ২০২০ সালের জুন শেষে এনএভি কমে দাঁড়ায় ১৮.২০ টাকা।

২০০৯ সালে ম্যাকসন স্পিনিং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি সময় অনুমোদিত মূলধন ছিল ৫০০ কোটি টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধ মূলধন দাঁড়িয়েছে ২৩৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। রিজার্ভ রয়েছে ১৯৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এবং কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৮২ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৯ টি।

চলতি বছরের জুন শেষে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে শেয়ার রয়েছে ৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ১৫.১০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ৫৪.৯০ শতাংশ।

কেন শেয়ার দর কেন বাড়ছে জানতে চাইলে ম্যাকসন স্পিনিংয়ের কোম্পানি সচিব নূর মোহাম্মদ ঢাকাটাইমসকে উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, সাফকো স্পিনিংয়ের শেয়ার দর কেন বাড়ছে? সেগুলো যে কারণে বাড়ছে ম্যাকসনও একই কারণে বাড়ছে।’

কী কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ‘ব্যবসা ভালো হচ্ছে। আর তাছাড়া শেয়ার দর বাড়া-কমার ক্ষেত্রে কোম্পানির কিছু করার থাকে না। আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। এটা মার্কেট ম্যাকানিজমের কারণে হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/ ১৬ আগস্ট/ মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এক মোটরসাইকেলে যাচ্ছিল ৪ বন্ধু, ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল দুজনের
ভারতের সামরিক অভিযানের দ্রুত, দৃঢ় ও কঠোর জবাব দেওয়া হবে: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান
সুনামগঞ্জে কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় ৯০টি গরুসহ নৌকা জব্দ 
সাবেক আইজিপি মোদাব্বির হোসেন চৌধুরীর ইন্তেকাল 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা