বিশ্বের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ পরিবারের তালিকায় তৃতীয় খালেদা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:৫৯
অ- অ+

বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সকল কলঙ্কের ইতিহাস জিয়াউর রহমান এবং তার স্ত্রী খালেদা জিয়া তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি। এ সময় তিনি জানান, বিশ্বের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ পরিবারের তালিকায় খালেদা জিয়া তৃতীয়।

শুক্রবার জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাতপোয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জিয়া পরিবারের ধারাবাহিক দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রভাব খাটিয়ে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে ২০০৬ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ বছরে জিয়া পরিবার দেশে-বিদেশে অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হয়ে ওঠে। ভাঙা সুটকেস থেকে বেরিয়ে আসে জিয়া পরিবার, এগুলো বাঙালি জাতি ভুলে যায়নি।’

মুরাদ হাসান বলেন, ‘সততার শীর্ষ তিনে জননেত্রী শেখ হাসিনা আরোহিত হয়েছেন বিশ্ববাসীর কাছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে রোল মডেল। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংয়ের পর স্থান হয়েছে তার। তাকে কোনো দুর্নীতি স্পর্শ করতে পারে না, তিনি সমগ্র বিশ্বের কাছে অনন্য উদাহরণ। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সরকার এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, অব্যবস্থার বিরুদ্ধে এবং রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল। এই যুদ্ধকে শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশে মহামারি মোকাবিলায় সরকারের জীবন ও জীবিকার সুষম নীতির কারণেই বাংলাদেশের উন্নয়নের বিষয়টি সম্ভব হয়েছে। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে। এক সময় যে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে সমালোচনা করা হয়েছিল, সেই দেশ আজ বিশ্ব বাজারে বিনিয়োগের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার প্রত্যক্ষ মদদদাতা ছিলেন জিয়াউর রহমান। তার নির্দেশে ঘটানো হয় ইতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। বিএনপি নির্যাতন, অন্যায়-অবিচার, শোষণ, প্রতিহিংসা ও ধ্বংসাত্মকের রাজনীতি করে। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ ন্যায়বিচার, মানুষের অধিকার আদায় এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় রাজনীতি করে। এখানেই দুটি রাজনৈতিক দলের পার্থক্য। বিএনপির ধ্বংসাত্মক রাজনীতির কারণে জনগণ আজ এই পাকিস্তানের দালাল দলটি প্রত্যাখান করেছেন। দলটি আজ ধুলিস্যাৎ হওয়ার পথে।’

এসময় তিনি খুনি জিয়ার মুখোশ উন্মোচন করে তার মরণোত্তর বিচার কার্যকর করার দাবিও জানান।

সাতপোয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ গফুরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মানিক প্রমূখ।

(ঢাকাটাইমস/১০সেপ্টেম্বর/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বদলগাছীতে বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে রাজশাহী মেয়রের এপিএস গ্রেপ্তার
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনকারীদের নামাজ আদায়
টাঙ্গাইলে গভীর রাতে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ২
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণজমায়েত: যমুনা ছেড়ে মঞ্চের সামনে জড়ো হচ্ছে নেতাকর্মীরা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা