‘পদ্মা পাড়েই হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকায় থাকার কারণে চলতি অর্থ বছরেই মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার পদ্মাপাড়ে স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম করতে অনেক ধরনের সমীক্ষা চালাতে হয়। সেটি করার জন্য তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য আমাদের যা যা করা দরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তা করা হবে।
শনিবার বিকালে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় স্টেডিয়ামের স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে শুধু স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে না, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের সব সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। খেলোয়াড়দের থাকার জন্য ডরমেটরিও নির্মাণ করা হবে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেন, ইতোমধ্যে সংসদীয় কমিটির একাধিক সভায় গুরুত্বসহকারে পাটুরিয়ার পদ্মাপাড়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ বাস্তবায়নে আলোচনা হয়েছে। পদ্মা পাড়ের প্রাকৃতিক নৈসর্গ ও মনোরম পরিবেশ দেখে সংসদীয় কমিটির সদস্যদের এই স্থানটি পছন্দ হয়েছে। এই স্থানটিতে স্টেডিয়াম নির্মানের উজ্জল সম্ভবনা রয়েছে।
মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বিসিবি পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই জায়গায় স্টেডিয়াম করার ঘোষণা দিয়ে গিয়েছিলেন। ২০২৬ সালের পর থেকে কয়েকটা চ্যাম্পিয়ন ট্রফির হোস্ট হওয়ার জন্য ক্রিকেট বোর্ড থেকে আমরা আইসিসির কাছে আবেদন করেছি। এই সময়ের মধ্যে এই সব স্টেডিয়ামগুলো রেডি হয়ে গেলে আমরা হোস্ট হতে পারবো।’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে দিনাজপুর মহিলা আসন-৩২ এর সংসদ সদস্য বেগম জাকিয়া তাবাসসুম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদ খানসহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট চায়না টেস্ট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ার করপোরেশনের সিনিয়র উপদেষ্টা সাও ঝোন ঝংয়ের নেতৃত্বে এই জায়গায় ফিজিবিলিটি (সমীক্ষা) টিম পরিদর্শন করেন। এরপর ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মাসুদ করিমের নেতৃত্বে আরও একটি টিম পদ্মা পাড়ের এই স্থানটি পরিদর্শন করেন।
(ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/কেএম)