বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে পাঠদান

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ)
 | প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর ২০২১, ১৬:২৯

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার গুড়নই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের চারটি কক্ষ ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রায় পাঁচ যুগ আগে তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ এই পুরাতন ভবনেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম। এছাড়াও গত বছর বন্যায় বিদ্যালয়ের তিনটি গাছ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় মূল ভবনের সঙ্গে নদী এসে লেগে গেছে। দ্রুত নদীভাঙন রোধের পদক্ষেপ না নিলেও ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে গ্রামবাসী।

এলাকাবাসী জানায়, সরকারিভাবে আনুমানিক ১৯৬০ সালের দিকে চার কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবনটি নির্মিত হয়। বর্তমানে ভবনের ছাদের পলেস্তার ও দেয়ালের ইট সিমেন্ট খসে পড়ছে। ভবনটি মেরামত বা সংস্কার করা না হলে যেকোন সময় বড় রকম দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের পাশে নব্বই দশকের শেষে তিন কক্ষের আরও একটি একতলা ভবন নির্মিত হয়। বিদ্যালয়ে সাতটি কক্ষের মধ্যে বর্তমানে পুরনো ভবনের চারটি রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। এদিকে দীর্ঘদিন পড়ে খুলেছে বিদ্যালয়। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান নিয়ে উৎকন্ঠায় রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী, সাতজন শিক্ষক ও কর্মচারী।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জহুরুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে সকলেই শঙ্কায় রয়েছে। বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে নতুন করে ভবন নির্মাণ করা না হলে যেকোন অঘটন ঘটতে পারে। এছাড়া নদী ভাঙন সমস্যাটিও একটি বড় সমস্যা। তিনি দ্রুত ভবন ভেঙে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর জাহান খাতুন বলেন, জরাজীর্ন ঘরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। কেননা মোট সাতটি ঘরের মধ্যে চারটি ঘরের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। আবার বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের ফলে প্রধান ভবনটি নদীগর্ভে বিলীনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিয়ে চরম সমস্যায় আছি।

এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা প্রকৌশলী পারভেজ নেওয়াজ খান বলেন, বিদ্যালয়টির পুরাতন ভবন ভেঙে সেখানে নতুন ভবন নির্মানের উদ্যেগ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে ওই বিদ্যালয়ের অন্যান্য সমস্যাগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২অক্টোবর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :